পাকিস্তানের আলোর শিখা ১৭ বছরের কিশোরী ইউসুফজাই মালালা (Malala Yousafzai)। যিনি ছদ্মনামে এক সংবাদমাধ্যমে সোওয়াত উপত্যকায় তালিবানের প্রভাব বিস্তারের খুঁটিনাটি তুলে ধরেন। তালিবানি শাসনে যেখানে অশিক্ষার অন্ধকারে রয়ে যায় মহিলারা, সেই সময় নিজে একাই গর্জে ওঠেন শাসনের বিরুদ্ধে।
বলাবাহুল্য, তালিবান গোষ্ঠীর রোষের মুখে পড়ে মালালার শরীরের উপর দিয়ে চলে তিন রাউন্ড গুলি। জীবন-মৃত্যু সংগ্রামে যখন মালালা, গোটা বিশ্ব তখন তাঁকে চেনে। এরপর নানান সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে উঠে, অবশেষে নারীশিক্ষা আন্দোলন, শিক্ষার প্রতি অনুরাগ তাঁকে এনে দিয়েছে দেশ বিদেশের নানা পুরস্কার এবং সম্মান। কিশোর বয়সেই তিনি সাম্মানিক ডক্টোরেট উপাধি পেয়েছেন, হ্যালিফ্যাক্সের ইউনিভার্সিটি অফ কিংস কলেজ থেকে। শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালে নোবেল পুরস্কার পান মালালা।
সেই নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত কনিষ্ঠ মালালা বলেন, তিনি পাকিস্তানী আর আপনারা ভারতীয়। এটাই তফাৎ। আর কোনো তফাত এখানে খাটে না। আমরা সকলেই ভালো আছি, তাহলে কেন এত ঝামেলা? ভারত-পাকিস্তানের মাঝে থাকা বর্ডার আর সীমানা এখন সেভাবে কাজ করে না। বরং পাকিস্তান এবং ভারত শান্তিতে বসবাস করতে চায়। মালালা, যিনি ইচ্ছাপ্রকাশ করে এও বলেন, ভারত এবং পাকিস্তানকে তিনি ভালো বন্ধু হিসেবে দেখতে চায়। মালালা সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্য আরও বলেন, প্রতি দেশেই কোনো না কোনো গোষ্ঠী সংখ্যালঘু।
কাজেই, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া প্রতি দেশের কাজ। তা সে ভারত হোক বা পাকিস্তান। সংখ্যালঘুদেরও আওয়াজ আছে, তাই মানবাধিকার কমিশনের উচিত তাদের উপর নজর দেওয়া।