যেন ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার স্মৃতি উসকে দিল! যদিও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অসংখ্য, মৃত্যুর কোন খবর পাওয়া যায়নি। ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার মতো এতটা ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরিই হয়নি। আগেভাগে বুঝতে পারায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভবপর হয়েছে। নাহলে অনেক বড় দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকত গোটা দেশ।
ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতের। বিশাখাপত্তনমের আনাকাপল্লে জেলার এক স্পেশাল ইকোনমিক জোনে গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটেছে। রাতেই কমপক্ষে ৫০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। দ্রুত তাঁদের অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল। সকাল হতেই জানা গেল, অসুস্থের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গভীর রাতেই আরও কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। বর্তমানে বিশাখাপত্তনমের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অন্তত ৯৪ জন ভর্তি রয়েছেন। জানা গিয়েছে, একটি পোশাক প্রস্তুতকারী ইউনিট থেকেই গ্যাস লিক হয়েছিল। গ্যাসের উৎস কী, কীভাবেই-বা তা ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নমুনাগুলি নিয়েছে এবং পরীক্ষার জন্য সেকেন্দ্রাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল টেকনোলজিতে (আইআইসিটি) পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বমি ও বমি ভাবের কারণে মহিলা কর্মচারীরা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। আনাকাপল্লে জেলার ব্র্যান্ডিক্সের একটি ইউনিট কোয়ান্টাম সিডসে কিছু বিষাক্ত গ্যাস নিঃশ্বাস নেওয়ার পরে মহিলা কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ।
অসুস্থতার প্রকৃত কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। ব্র্যান্ডিক্স এসইজেড পোশাক উৎপাদন ইউনিটগুলিতে হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ করে, যাদের বেশিরভাগই মহিলা। তবে বর্তমানে প্ল্যান্টে গ্যাসের কোনো গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে না এবং পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।