আম আদমি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এবং একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সিগনেচার স্টাইল মাফলার আর সাধারণ শার্ট-প্যান্ট। আর সেই রেগুলেশন মেনে নিয়েই আসন্ন আপয়ের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীর সিগনেচার স্টাইল হল বাসন্তী পাগড়ি। ৪৮ বছর বয়সী ভগবন্ত মান হতে চলেছেন আম আদমি পার্টির দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। নিজের এলাকা ধুরিতে আম আদমির ঝাঁটা চিহ্নকে সামনে রেখে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভগবন্ত। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখা ভাল, তিনি কিন্তু বরাবরের রাজনীতির লোক নন। উইকিপিডিয়া বলছে, কেরিয়ার শুরু করেছিলেন স্ট্যান্ড আপ কমিডিয়ান হিসেবে। তারপর রাজনীতিতে পদার্পন। ১১ বছরের কম সময়ে রাজনীতির নতুন মুখ থেকে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর সফরপথ অতিক্রম করেছেন তিনি।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি নির্বাচনের মাত্র ১ মাস আগে দল তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে ঘোষনা করেন। ফোন ইন জরিপের ফলাফল বলছে, ৯৩ শতাংশ ভোট রয়েছে তার পক্ষে। ভগবন্ত মানের এই জনপ্রিয়তা কিন্তু নতুন কিছু নয়। মাত্র ১৮ বছর বয়সে কলেজে পড়াকালীন তাঁর গাওয়া একটি অডিও ক্যাসেট বিপুল সাড়া ফেলে দিয়েছিল সেই সময়। সার্কাজমকে হাতিয়ার করে সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বিচারিতা ব্যাঙ্গের মাধ্যমে তুলে ধরতে 'জুগনু মাস্ত মাস্ত' নামক শোতে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। বলাবাহুল্য শোয়ের পর দর্শকদের প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছিলেন তিনি।
২০১১ সালে যখন তাঁর কেরিয়ারের টপ ইনিংস চলছে, সেসময়ে পিপলস পার্টি অফ পাঞ্জাবে যোগদানের জন্য তিনি টেলিভিশন ছেড়ে দেন। সেবছর পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ এস বাদলের ভাগ্নে মনপ্রীত সিং বাদলের সঙ্গে টক্কর চলেছিল হাড্ডাহাড্ডি। ২০১৪ সালে বাদল তাঁর দলকে কংগ্রেসের সাথে একত্রীকরণের সিদ্ধান্ত নিলে ভগবন্ত বেছে নেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল আহ্বান। যোগ দেন আম আদমি পার্টিতে। বাকিটা ইতিহাস।
আকালি পার্টির লিডার এসএস ধিনস্যাকে দুই লাখ ভোটে হারিয়ে সাংগুর জয় করেন ভগবন্ত। ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ৩০০ এর বেশী প্রচারের লবিতে নেমে সবথেকে জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন ভগবন্ত। তবে সাফল্যের পাশাপাশি পেয়েছেন বদনামও। মদ্যপ অবস্থায় হাউসে ঢুকে কুৎসিত রাজনীতির মারপ্যাঁচেও জড়িয়েছিলেন তিনি। গুজব রটেছিল তিনি নাকি দিল্লি হাইকমান্ডের রাবার স্ট্যাম্প। এতকিছুর পরেও আপন নিষ্ঠাতে বলবৎ ছিলেন ভগবন্ত মান। নির্বাচনের পরে তাঁকে "কতটা চিন্তায় রয়েছেন?" প্রশ্ন করা হলে নিজস্ব ভঙ্গিতে তিনি বলেছিলেন, "আমরা চিন্তিত নই, আমরা ৮০ টির বেশি আসন পাব, বাকিদের এখন বসে চিন্তা করার সময়।"