নারী সুরক্ষা এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার পর এবার প্রশ্নের মুখে যোগীরাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সম্প্রতি ভ্যাকসিনেশনের কাজ চলাকালীন তিন প্রবীণ মহিলাকে কোভিড টিকা দেওয়ার বদলে রেবিসের টিকা প্রদান করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের শামলির কান্ধলা এলাকায়। এরপরেই প্রশ্ন উঠেছে, যোগীরাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঘিরে।
রেবিস, যা সাধারণত পশুদের থুতুর মধ্যে দিয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। অর্থাৎ যদি কোনো পশু আপনাকে কামড়ে দেয় কিংবা আঁচড়ালেও এই ভাইরাস আপনার শরীরে প্রবেশ করে। আর এর থেকে বাঁচতেই রেবিস টিকা দেওয়া হয়। তবে এর সাথে কোভিড ভ্যাকসিনের সম্পর্ক বা মিল কোথায়? তবুও এই তিন প্রবীণ মহিলা রেবিস ভ্যাকসিন পেলেন।
সূত্রে খবর, ভ্যাকসিনে এমন গন্ডগোল করার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে, যখন তাঁদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। দেখা যায় ওই মহিলাদের মাথা ঘুরতে শুরু করে, সাথেই বমি ভাব। এরপরেই ওই মহিলা নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলে চিকিৎসক জানতে চায় তিনি কোভিশিল্ড নাকি কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন। সে সময় ওই মহিলা, চিকিৎসককে ভ্যাকসিন দেওয়ার কুপনটি দেখাতেই, চিকিৎসকের চক্ষু চড়কগাছ। কারণ ওতে স্পষ্ট লেখা, তাঁকে রেবিস ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
এরপরেই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসজিৎ কৌর বলেন, “ক্ষতিগ্রস্থ মহিলারা কোভিড ভ্যাকসিনের বহিরাগত বিভাগের লাইনে না গিয়ে তাঁরা সাধারণ ওপিডিতে লাইনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, আমাদের টিকা দিন।"
এরপরেই পাল্টা প্রশ্ন, সাধারণ মানুষ নাই জানতে পারেন কোনটা কোভিড ভ্যাকসিনের লাইন। তা বলে তাঁরা কোন ভ্যাকসিন দিতে এসেছেন, সেটা না শুনেই যে কোনো টিকা দিয়ে দেওয়া হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে জসজিৎ কৌর বলেন, "তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভুল ভ্যাকসিন কেন দেওয়া হল, এ নিয়ে তদন্তের পরে আজ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ উঠলে, পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"