ধরুন কোনো একটি বিষয়ে আপনি সবটা জানেন না। তাতে কি? আপনাকে তো খবরে বা আলোচনায় থাকতেই হবে। নইলে তো যুগের নিয়মেই আপনি পিছিয়ে পড়বেন! আরে মশাই, আপনি যদি প্রতি দশটি বিষয়ের আটটি নিয়ে পরিচিত মহলে কিংবা টুইটার ফেসবুক জাতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট না করেন তাহলে এই সমাজ আপনাকে মেনে নেবে তো?
তাই চলুন, পোস্ট করা যাক! কিন্তু পুরো গবেষণা না করেই ভারত সরকারের কোনো একটি বিষয় নিয়ে আপনি খিল্লি করে দেবেন? বাপ রে! দিনভর চলা নেতাজী বিতর্কের নিষ্পত্তি ঘটলো রাষ্ট্রপতি এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের করা টুইটারে এবং মহুয়া মিত্রের টুইট ডিলিট করায়।
রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নেতাজীর যে ছবিটি উন্মোচন করেন সেটি আদতে নেতাজীর নয়, গুমনামি সিনেমায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি।— তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের এই দাবিকে ঘিরেই প্রাথমিক বিতর্কের শুরু। মহুয়ার এই দাবির পর দুটি পক্ষে ভাগ হয়ে যায় নেট মহল। অবশেষে রাষ্ট্রপতি ভবনের পক্ষে জানানো হয় ওটি আসলে নেতাজীরই ছবি। গুমনামি সিনেমার নির্দেশক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় দুজনেই সরকারি মতের পক্ষেই কথা বলেন। তাঁদের দাবি, এটি পরেশ মাইতির আঁকা ছবি। কিন্তু মেক আপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডু যে নিপুণতার সাথে সিনেমায় প্রসেনজিৎকে সাজিয়ে তুলেছিল সেখান থেকেই বিতর্কের সৃষ্টি।