রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আদিবাসী প্রার্থীকে মুখ হিসেবে বেছে নিয়ে প্রগতিশীল মনোভাবের পরিচয় দিল বিজেপি। এনডিএ জোটের প্রার্থী হচ্ছেন দ্রৌপদী মুর্মু। ওড়িশার প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী দ্রৌপদী সে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীও ছিলেন। মোদি জমানায় ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবেও অধিষ্ঠিত হন। এনডিএ রাষ্ট্রপতি প্রার্থী ঘোষনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্যুইট করে লেখেন, "শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুজি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন সমাজের সেবা এবং দরিদ্র, দরিদ্র ও প্রান্তিকদের ক্ষমতায়নের জন্য। তাঁর প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং একটি অসামান্য সাংগঠনিক মনোভাব রয়েছে। আমি নিশ্চিত তিনি আমাদের জাতির একজন মহান রাষ্ট্রপতি হবেন।"
মোদির সংযোজন, "লক্ষ লক্ষ মানুষ, বিশেষ করে যারা দারিদ্র্যের এবং কষ্টের সম্মুখীন হয়েছে, তারা শ্রীমতী দ্রৌপদীর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করবে। তাঁর নীতিগত বিষয়ে বোঝাপড়া এবং সহানুভূতিশীল প্রকৃতি আমাদের দেশকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে।" প্রসঙ্গত, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু? উঠছে প্রশ্ন। পেশায় শিক্ষিকা দ্রৌপদী জি ১৯৯৭ সালে ওড়িশার রায়রাংপুর পুরভোটে জিতে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার রায়রাংপুর কেন্দ্রের বিধায়কও হন। ২০০০ ও ২০০৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন। পরিবহণ, পশুপালন, মৎস্য দফতর সামলেছিলেন আদিবাসী নেত্রী। বিজেপির আদিবাসী মোর্চার সহ-সভাপতিও হয়েছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি হন ওড়িশার সেরা বিধায়ক। পরে মোদীর জমানায় ২০১৫-র মে থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলান দ্রৌপদী।
প্রসঙ্গত, বিরোধী দলগুলি জোট বেঁধে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে যশবন্ত সিনহাকে বেছে নিয়েছিল আগেই। আর এবার রাত্রে বিশেষ বৈঠক বসে গেরুয়া শিবিরের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, রাজনাথ সিং,নিতিন গডকড়ি ও শিবরাজ সিং চৌহানরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এদিন জানান, সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে ২০টি নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত আদিবাসী নেত্রী মুর্মুর নামে শিলমোহর পড়ে।