উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন (Uttarpradesh Assembly Election) আসতেই ফের আলোচনার শীর্ষে সেই রামমন্দির (Rammandir)। প্রথম থেকেই রামমন্দির নির্মাণের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ করে আসছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, চাঁদা তুলে টাকা লুট করছে বিজেপি। পাশাপাশি উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেছেন, বিজেপি নেতা হৃষিকেশ উপাধ্যায়ের ভাইপো দীপনারায়ণ উপাধ্যায় ২০ ফেব্রুয়ারি মন্দিরের পাশের প্রায় ৭ হাজার বর্গমিটার জমি মাত্র ২০ লক্ষ টাকায় কিনে নেন। আর কয়েক মাসের মধ্যেই রামমন্দির ট্রাস্টের কাছে আড়াই কোটি টাকায় বিক্রি করে দেয়। একদিকে সরকারি মূল্যের চেয়ে কম দামে কিনে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১২০০ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি কীভাবে হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই।
এদিকে এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে সুর চড়া করেছে কংগ্রেস। তবে এ নিয়ে আদালতে যেতে নারাজ কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, এ বিষয় নিয়ে আদালতে গেলে বাড়তি সুবিধা পেতে পারে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে যোগী সরকারের অন্যান্য ব্যর্থতা ঢাকা পড়ে এই ধর্মীয় উস্কানি প্রধান বিষয় হয়ে উঠতে পারে। যার বাড়তি সুবিধা পেতে পারে বিজেপি। তাই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বদের যুক্তি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জারি থাকলেও আদালতে গেলে কোর্ট যদি রামমন্দির নির্মাণের স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয়, তাহলে সুবিধা পাবে বিজেপি। তাই অত্যন্ত সচেতনতার সঙ্গে বিষয়টি দেখতে হবে বলে মনে করছেন একাংশ।
অন্যদিকে রামমন্দির নির্মাণের জমি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই বিজনৌরে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছিল চম্পত রাইয়ের ভাইদের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ এ নিয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলতেই ওই সাংবাদিকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগে এফআইআর দাখিল করেছে যোগী প্রশাসন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫ টি ধারা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৩ টি ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের রামমন্দির নির্মাণের বিষয়ে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।