কোভিডের (Covid-19) থেকে রেহাই পেতে টিকাকরণকেই ভরসা করেছেন অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ববিধি পালন, মাস্কের ব্যবহার কিংবা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার দিকেও জোর দিতে হবে। কেবল টিকা নিলেই শেষ নয়, মানতে হবে কোভিডের বিধি-নিষেধ। এর পাশাপাশি দু'টি ডোজের টিকা নেওয়ার পর টিকার তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নেওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পর তৃতীয় ডোজটি নেওয়ার সুপারিশ করছেন অনেকেই। যা কোভিড মোকাবিলায় অধিকতর কার্যকরী।
শুক্রবার লোকমান্য তিলক পুরস্কার নেওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে এমন কথা জানালেন কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান সাইরাস পুনাওয়ালা। তিনি আরও জানিয়েছেন, কোভিশিল্ডের দুই ডোজ টিকা নেওয়ার ব্যবধান থাকা উচিত ২ মাস। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার অন্তত ৬ মাস পর এই বুস্টার ডোজ নেওয়া যেতে পারে। যা অধিকতর কার্যকরী। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, করোনা ভাইরাস রোখার একমাত্র পন্থা লকডাউন কখনোই নয়। লকডাউন কোন চিরস্থায়ী সমাধান নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। কোভিড বিধি মেনে চলা এবং টিকাকরণের মাধ্যমেই করোনাকে রুখে দেওয়া সম্ভব।
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট-এ সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছিল কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কিছু সময়ের মধ্যে শরীরে অ্যান্টিবডি কমে যায়। এই প্রসঙ্গে সেরাম ইন্সটিটিউট-এর চেয়ারম্যান দাবি করেন, অ্যান্টিবডির সংখ্যা কমলেও মেমোরি সেল থাকে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, তাদের সংস্থার কর্মীদের ইতিমধ্যেই কোভিডের বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। যা যথেষ্ট কার্যকরী। তিনি সাধারণ মানুষকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার অনুরোধও করেছেন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বুস্টার ডোজ বন্ধ রাখতে বলেছেন। তাতে করে টিকাকরণে বৈষম্যের শিকার হবে ছোট দেশগুলি। যদিও ইতিমধ্যেই পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশ বুস্টার ডোজের সুপারিশ করেছে।