গত বছরের শুরুর দিক থেকে গোটা বিশ্বে থাবা বসিয়েছে করোনা সংক্রমণ। এমনকি চলতি বছরের শুরুতেও ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। তবে এই মারন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেশজুড়ে চলছে টিকাকরণ ব্যবস্থা। সেই প্রেক্ষিতেই গত মাসের মাঝের দিক থেকেই তৃতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা অনেকটাই কমেছে। এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছে দৈনিক সংক্রমণ হার এবং মৃত্যুহার। তবে কিছু গবেষণা ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে জুন-জুলাই মাসের মধ্যেই আবারও ভারতের বুকে আঘাত হানতে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ। অবশ্য এমন গবেষণার দাবি মানতে চাননি বিখ্যাত ভাইরোলজিস্ট ড: টি জ্যাকব জোন। উল্টে তিনি দাবি করেছেন, "ভারতে তৃতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা একদমই শেষ হয়ে গিয়েছে এবং চতুর্থ ঢেউ আসার কোনো সম্ভাবনা নেই, যতক্ষণ না সম্পূর্ণ নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হচ্ছে"।
ড: টি জ্যাকব জোন জানিয়েছেন, "আমার মতে ভারতে করোনা এন্ডেমিক পর্যায়ে রয়েছে। এর অর্থ খুব কম পরিমানে কিন্তু একটি নির্দিষ্ট হারে সংক্রমণ ঘটবে এবং মাঝে মাঝে খুব কম মাত্রায় সংক্রমণ হার বৃদ্ধি বা হ্রাস পেতে পারে টানা চার সপ্তাহের জন্য। ভারতে সংক্রমনের পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যাবে রোগের এন্ডেমিক পর্যায়ে যাওয়ার সমস্ত শর্ত পূরণ হচ্ছে। এই ট্রেন্ড দেখেই মনে করা যাচ্ছে কোনো অপ্রত্যাশিত সম্পূর্ণ নতুন ভেরিয়েন্ট জন্ম না নিলে ভারতের বুকে চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না"।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় মাত্র ৩৯৯৩ টি নতুন করে করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই পরিসংখ্যান গত ৬৬২ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই প্রেক্ষিতেই বলা যেতে পারে আপাতত ভারতের জন্য চতুর্থ ঢেউয়ের কোনো আশঙ্কা নেই। তবে ড: টি জ্যাকব জোন এও জানিয়েছেন যে SARS-CoV-2 মিউটেশন ঘটাতেই পারে। মিউটেশনের ফলে নতুন সৃষ্ট স্ট্রেন অত্যন্ত কম মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এতে মারাত্মক সংক্রমনের কোনো আশঙ্কা নেই।