আজকের দিনেই ১৯৪৫ সালে জাপান শাসিত ফোরমোসায়, বর্তমান তাইওয়ানের তাইপেইতে বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। অনেকেই মনে করেন, এই বিমান দুর্ঘটনায় নাকি সুভাষ চন্দ্র বসুর (Subhas Chandra Bose) মৃত্যু হয়েছে। যদিও বিষয়টি বিতর্কিত। অনেকেই বিশ্বাস করেন না এই বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছে। এবার এই বহু আলোচিত বিষয়টি নিয়ে বিতর্কে জড়াল বিজেপি (BJP) এবং কংগ্রেস (Congress)। পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
সূত্রের খবর, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর 'মৃত্যুবার্ষিকী'-তে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি সাংসদ রমেশ পোখরিয়াল। এমনকী একই বিষয়ের উপর কংগ্রেসের তরফেও এক টুইট মারফত নেতাজির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। দু'টি দলের তরফে এমন বিতর্কিত টুইটে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গেছে। বুধবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বিজেপির সাংসদ রমেশ পোখরিয়াল একটি টুইট করেন। সেই টুইটে তিনি লিখেছেন, "আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠাতা, অনন্য যোদ্ধা এবং ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃস্থানীয় যোদ্ধা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি! দেশের জন্য 'নেতাজি'-র সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং উৎসর্গ দেশের সকল তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা। জয় হিন্দ!" যদিও বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের পরই তিনি টুইটটি সরিয়ে নেন।
এই ঘটনার পর কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট করা হয়। সেখানে এই কথাগুলি লেখা ছিল, "আজাদ হিন্দ ফৌজ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভিন্ন মোড় এনেছিল। জাতীয়তাবাদের ধারণায় নিমজ্জিত ভারত মাতার সাহসী ছেলেরা নেতাজীর নেতৃত্বে মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছিল, সবকিছু ত্যাগ করে।কংগ্রেস পরিবার ভারত মাতার প্রিয় পুত্র নেতাজীকে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রণাম জানায়।" বিজেপি নেতার টুইটের পর কংগ্রেসের তরফে এমন টুইটে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসায় বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি টুইটে লিখেছেন, "এই টুইটের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মৃত্যুর এই তারিখ এখনও প্রমাণিত হয়নি। কংগ্রেস এবং বিজেপি সরকার উভয়ই নেতাজির শেষ মুহূর্তের প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করেনি। বাংলা ও ভারতের আবেগ নিয়ে খেলবেন না। প্রথমে মৃত্যু প্রমাণ করুন। শ্রেণীবদ্ধ ফাইল প্রকাশ করুন।" নেতাজি শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশের আবেগ। তাঁকে নিয়ে কেন্দ্রের দুই দলের এমন টুইটের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ওয়াকিবহাল মহল।