উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) লখিমপুর খেরির ঘটনায় গোটা দেশ এখন উত্তাল। রবিবারের পর সোমবার সকাল হতেই ফের একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় ৩ জন কৃষকের মৃত্যুর খবর এসেছে। এরপর বিজেপি বিরোধী দলগুলির লাগাতার আন্দোলনে কার্যত পর্যুদস্ত উত্তরপ্রদেশ বিজেপি (BJP)। সোমবার সকালেই আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে যান কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। যাওয়ার পথে তিনি পুলিশি হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। দীর্ঘসময় টানাপোড়েনের পর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পরিস্থিতি আঁচ করেই আগে থেকে ঘটনাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। গোটা এলাকাটি কার্যত স্তব্ধ করে দেওয়া হয়। এমন অবস্থায় অন্যান্য দলের প্রতিনিধিদের এলাকা পরিদর্শন ছিল কার্যত চ্যালেঞ্জের বিষয়। তারপরও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী সোমবার সকাল সকাল এলাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। গিয়েই প্রতিরোধের মধ্যে পড়তে হয়েছে। প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে জোর করে পুলিশ ভ্যানে তোলার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ভ্যানে ওঠার সময় প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে বলতে শোনা গেছে, উপযুক্ত কাগজপত্র ছাড়া তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ তো কার্যত অপহরণ করা হল।
অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবকেও বাধার মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে খবর। এর আগে লখনউ-এ তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা অখিলেশ যাদবের কর্মী সমর্থকদের পুলিশ গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।লখিমপুর বিমানবন্দরে নামতেই দেওয়া হয়নি ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের কপ্টার। তিনিও কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে সেখানেই যাচ্ছিলেন বলে খবর। বিমান অবতরণে বাধা দেওয়া হয়েছে পঞ্জাবের উপমুখ্যমন্ত্রীকেও। কৃষক বিক্ষোভের জেরে অগ্নিগর্ভ লখিমপুরে নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। গোটা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ফলে কাউকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না বলে দাবি পুলিশের।
এর মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন বলে খবর। সব মিলিয়ে দিনভর লখিমপুর খেরির কৃষক আন্দোলন নিয়ে উত্তপ্ত থাকবে গোটা দেশ বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।