প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) পরিবর্তন করার কোনও একতরফা প্রচেষ্টা ভারত বরদাস্ত করবে না, মঙ্গলবার ভারত-চীনা সীমান্ত ইস্যু প্রসঙ্গে এমনই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মন্ত্রী জানান, সামরিক কমান্ডার এবং কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা চলছে।
জয়শঙ্কর বলেন, "গত দুই বছরে যা ঘটেছে, আমরা তা নিশ্চিত করতে খুবই স্পষ্ট এবং কার্যকর ছিলাম যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের কোনো প্রচেষ্টা আমাদের দ্বারা প্রত্যাখ্যান করা হবে না।" তিনি জানান, চীনের সঙ্গে সীমানার সমস্যাগুলি অনেক আগেই '৬২ সালের লাদাখ-সহ ভারতের বিশাল অংশ দখল করার কারণে সৃষ্টি হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি ভারত সরকারে অবস্থান জানতে চেয়েছিল ট্যুইট করে। এবার গান্ধীকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "তাঁর টুইটটিতে আমি বিশেষ নতুন কিছু দেখিনি, কারণ আপনারা সকলেই জানেন যে সীমানা নিয়ে আমাদের সমস্যার একটি বড় অংশ হল কারণ ১৯৬২ সালে চীনারা এসেছিল এবং লাদাখ-সহ বিশাল এলাকা দখল করেছে।" তাঁর সংযোজন, "এগুলির মধ্যে অনেকগুলি এলাকা স্পষ্টতই আমাদের সীমান্ত বাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।"
প্রসঙ্গত, গান্ধী তাঁর টুইটে অভিযোগ করেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনকে ভয় পান, জনগণের কাছ থেকে সত্য গোপন করেন, কেবল নিজের ভাবমূর্তি রক্ষা করেন, সেনাবাহিনীর মনোবল হ্রাস করেন এবং দেশের নিরাপত্তা নিয়ে খেলা করেন। গান্ধির ট্যুইটের বিপরীতে তাঁর বক্তব্য, "আমি সত্যিই জানি না বিভ্রান্তি কী।"
মন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে দুই পক্ষের সামরিক কমান্ডার ও কূটনীতিকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তাঁর বক্তব্য, "গত বছরে খুব উল্লেখযোগ্য বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছিল। এখনও কিছু সমস্যা রয়েছে... আলোচনা চলছে। বালিতে যখন আমি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করি তখন আমি নিজেই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলাম।"
বিজেপির বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, "আরব দেশগুলির মধ্যে প্রাথমিকভাবে কিছুটা উদ্বেগ ছিল, ভারত সরকার তার অবস্থান স্পষ্ট করার পরে, তাদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়।" তিনি আরো বলেন, "উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে এবং তারা আমাদের সরকারের প্রতি আস্থা রেখেছেন।"