দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা যখন উর্দ্ধমুখী, তখনই সরকারিভাবে সেই সংখ্যাকে কিছুটা কমিয়ে প্রকাশ করা কিংবা আঞ্চলিক স্তরেও প্রশাসনের গাফিলতিতে বা প্রযুক্তিগত ত্রুটির ফলে মৃতের সংখ্যা নিয়ে কারচুপির একাধিক অভিযোগ এসেছে দেশের প্রায় সব প্রান্ত থেকেই। তাই এবার করোনায় মৃতের সংখ্যায় কোনোরকম কারচুপি রোধে নয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টের কাছে একটি হলফনামা দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। তাদের দাবি, এবার থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কারো মৃত্যু হলে তারও ডেথ সার্টিফিকেটে কারণ হিসেবে করোনাই দর্শাতে হবে। করোনায় মৃতের পরিবারকে এককালীন চার লক্ষ টাকা দেওয়া সম্ভব না, সাফ জানিয়েছে কেন্দ্র।
এতদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনায় মৃতদের সংখ্যাই সরকারিভাবে প্রর্দশিত হত কারণ সেখানে তাদের ডেথ সার্টিফিকেটে করোনার কথা উল্লেখ থাকত। বাড়িতে চিকিৎসাধীন করোনাক্রান্ত বা হাসপাতালের দ্বারস্থ কিন্তু বেড পাওয়ার আগেই মৃত, এমন ব্যক্তিদের এই তালিকায় রাখা হতো না। স্বভাবতই, এতে কারচুপির অনেক সুযোগ থাকত। তাই এখন থেকে এই নীতি বদলে বাড়িতে চিকিৎসাধীনদের জন্যেও ডেথ সার্টিফিকেটে করোনার কথা উল্লেখ করতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসকদের। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
একইসাথে করোনায় মৃতের পরিবারকে এককালীন চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কিনা সে নিয়ে সে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু জবাবে কেন্দ্র স্পষ্ট জানায়, সরকারেরই কোষাগারের অবস্থাই খুবই শোচনীয়। তাই এমন পরিস্থিতিতে চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে গেলে যত অর্থের প্রয়োজন, তত অর্থ নেই কোনও সরকারের কাছেই।