সারা দেশজুড়ে চলছে করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া। বেশ কিছু ক্ষেত্রে কিছু শারীরিক অসুস্থতা পরিলক্ষিত হয়েছে যা বেশীরভাগ সময়েই ভ্যাকসিনেশনের পরবর্তী অসুস্থতা বলে পরিগণিত হয়েছে এবং তা নিরাময়যোগ্য। কিছু ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে যা ভ্যাকসিন গ্রহীতার শরীরে অন্য কোনো রোগের উপস্থিতি বা শারীরিক অক্ষমতার কারণে। অ্যালার্জিজনিত সমস্যা এক্ষেত্রে একটি বিশেষ আলোচ্য বিষয়। অনেকেই অল্প বিস্তর অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন। টিকাগ্রহণের আগে তাই চিন্তিত হওয়া স্বাভাবিক। টিকাগ্রহণে কি অ্যালার্জি বাড়তে পারে? কি জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা, দেখে নেওয়া যাক:
কোভ্যাকসিন নির্মাণকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের বক্তব্য অনুযায়ী, মৌখিকভাবে গৃহীত ওষুধ খেয়ে বা যাদের বংশপরম্পরায় অ্যালার্জির সমস্যা আছে অথবা যেকোনো প্রকার টিকা গ্রহণের ফলেই যাদের মৃদু অ্যালার্জির সমস্যা হয় (অ্যানাফিলাক্সিস নয়), তারা নিশ্চিন্তেই কোভ্যাক্সিন গ্রহণ করতে পারেন। তবে যারা কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর অ্যালার্জিতে ভুগেছেন, অর্থাৎ কোভ্যাকসিনের কম্পোনেন্ট দ্বারা অ্যালার্জি হয়েছে, তারা ওই ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেননা। কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রেও ঠিক একই সতর্কবার্তা জারি করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট।
এইমস ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, যারা অ্যালার্জির জন্য ওষুধ খান, তারা ভ্যাকসিনেশনের পরেও ওষুধ খাওয়া চালিয়ে যাবেন। নীতি আয়োগের ডক্টর ভি.কে পাল বলেন যাদের ভয়াবহ আকার ধারণ করে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ভ্যাকসিন নেবেন। যদিও কোন ভ্যাকসিন নিতে হবে, তা স্পষ্ট করেননি।