বিজেপিতে যোগ দিলে ৪০ কোটি! এমন লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েই দলে টানা হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন গোয়া কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান গিরিশ চোড়ণকর। অভিযোগ, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাতের নেতৃত্বে কমপক্ষে ছয়জন বিধায়ক গেরুয়া শিবিরে যোগদান করতে চলেছেন এই প্রলোভনের বশবর্তী হয়ে।
তাঁর মতে, শিল্পপতি এবং কয়লা মাফিয়ারা কংগ্রেস বিধায়কদের ফোন করে উত্যক্ত করছে। জানা গিয়েছে, বিধায়করা কংগ্রেসের গোয়ার ইনচার্জ দীনেশ গুন্ডু রাওকে এই সমস্ত কথা খুলে বলেছে।
যদিও যাবতীয় অভিযোগগুলি খারিজ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সদানন্দ তানাভদে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "কংগ্রেস বিধায়কদের কাছে যাওয়ার এবং অর্থের প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।" তাঁর সংযোজন, "এটা তারা সব সময় করেই চলেছে, এবং এই জিনিসগুলির কোনও সারমর্ম নেই। কংগ্রেসের বিভ্রান্তির সাথে গোয়া বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই এবং আমরা এই বিষয়ে আমাদের দলের কাছ থেকে কিছু শুনিনি।"
অন্যদিকে রাজ্য কংগ্রেসও নিজেদের দলের ফাটলের খবরকে অস্বীকার করে চলেছে। তবে আজ সকালের একটি দলীয় সভা ও সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকজন বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন। আর জেরেই সন্দেহ দ্রবীভূত হচ্ছে। পূর্বেই কংগ্রেস বিধায়ক মাইকেল লোবো নেতাদের দলবদলের গুজব অস্বীকার করে দাবি করেছিলেন, "অধিবেশনের আগে ইচ্ছাকৃতভাবে গুজব ছড়ানো হয়েছে।" তাঁর কথায়, "এগুলো সব গুজব। তেমন কিছুই নেই। বিধানসভা [অধিবেশন] শুরু হচ্ছে এবং একটি গুজব যা প্রতিবারই কেউ না কেউ ছড়ায়। আমাকে বলা হয়নি। যদি আমাকে বলা হয়, আমি আপনাকে প্রথমে বলব।"
'জনগণের মধ্যে গুজব ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির' জন্য বিজেপিকে দোষারোপ করে গোয়া কংগ্রেসের সভাপতি অমিত পাটকর বলেছেন, "আমাদের ১১ জন বিধায়কের মধ্যে আটজনই নতুন। আজ ফ্লোর ম্যানেজমেন্ট (হাউসে) নিয়ে একটি মিটিং ছিল। আমাদের সিনিয়র বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নতুন বিধায়ক, এবং আমি আশাবাদী যে, সোমবার থেকে আপনারা এই ধরনের গুজব আর শুনতে পাবেন না।"