রাজ্যে একুশের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) এখন পাখির চোখ বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য ত্রিপুরা (Tripura)। তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের ক্রমাগত ত্রিপুরা যাত্রা সেই বার্তাই বহন করে বলছেন ওয়াকিবহাল মহল। ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটকদের পর আজ ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তার আগেই বিপত্তি। রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন ব্যানার, ফ্লেক্স, হোর্ডিং ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা সফরের আগে এমন ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার বেলা ১১ টার সময় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে ত্রিপুরা-জয়ে যাত্রা শুরু করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বিকেল ৩ টের সময় তিনি সাংবাদিক বৈঠক করবেন। ত্রিপুরায় নবাগত তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান সৈনিককে স্বাগত জানাতে ত্রিপুরার তৃণমূল দল কোন খামতি রাখেনি। বিমানবন্দর থেকে ২২ মিনিটের সফরে ব্যানার, ফেস্টুনের ছড়াছড়ি। 'ত্রিপুরা দিদিকে চায়' ব্যানারে ভরে গেছে। বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরায় মমতার মাস্টারস্ট্রোক রীতিমত চিন্তায় ফেলেছে সে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বদের, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সেই ক্ষোভের প্রকাশে এই ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ। সব মিলিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় আছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তের মতো তৃণমূল কংগ্রেসের তরুণ-তুর্কি। মূলত ত্রিপুরার যুবসমাজকে ফ্রণ্ট লাইনে আনতে তৃণমূল কংগ্রেসের এই মাস্টারস্ট্রোক। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরাতেও 'খেলা হবে' স্লোগান অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দলীয় কর্মীদের উপর হামলা, রাজনৈতিক সন্ত্রাস, পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ত্রিপুরার মাটিতে পা দিয়ে তিনি কী বলেন তা এখন দেখার বিষয়।