২০০২ সালের আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে একাধিক মামলার শুনানি চলছে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলার শুনানিতে বুধবার সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন যে ৪৭০০ টি মামলার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে ২০০২ সালের আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে মাত্র ৩১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা গেছে। কঠোর সুরক্ষার জন্য গ্রেপ্তারি এত কম বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।
এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এও জানিয়েছেন যে আর্থিক তছরুপ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মালিয়া, নীরব এবং চোকসির থেকে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ফেরত পেয়েছে। এরপরেও প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের বিভিন্ন মামলায় এখনও বকেয়া রয়েছে ৬৭ হাজার কোটি টাকা।
ব্যাঙ্কের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দেশ থেকে পালিয়ে ছিলেন এই তিন শিল্পপতি। তিনজনকেই ঋণখেলাপি বলে ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার। প্রথমে কিং ফিশারের মালিক বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে ৯ হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ তোলা হয়। বর্তমানে তিনি লন্ডনে জামিনে মুক্ত আছেন। তাঁকে ভারতে ফেরানোর সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। অন্যদিকে মামা ভাগ্নে হিরে ব্যবসায়ী নিরব মোদী ও মেহুল চোক্সী পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তছরুপ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।