ফের রাজনৈতিক তরজাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কেন্দ্র ত্রিপুরা। তৃণমূলের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূল নেতাদের আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে হামলা চালিয়েছে বিজেপি। যার জেরে আহত হয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী। এবিষয়ে নিজেদের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ভিডিও-ও পোস্ট করেছে তৃণমূল। বিপ্লব দেবকে 'নির্লজ্জ' বলে ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
তৃণমূল দাবী করেছে, আগরতলা মহিলা থানায় তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নি ঘোষ ঢোকার পর থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। থানার বাইরে লাঠি, ইঁট হাতে নিয়ে হেলমেট পরে জমায়েত করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সায়নি থানায় ঢুকতেই তারা আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও উঠেছে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ‘হিট অ্যান্ড রান’-এর অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগরতলা মহিলা থানায় ডাকা হয় সায়নি ঘোষকে। তাঁর সাথে থানায় পৌঁছায় আরও তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে থানায় ডেকে এনে আক্রমণ চালিয়েছে বিজেপি। এবিষয়ে সুবল ভৌমিকের দাবী, পুলিশকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের পথ রোধ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। নেতা-কর্মীদের উপর ইঁটবৃষ্টি চলছে, পুলিশ নীরব দর্শক। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেছেন, “ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে। থানায় ডেকে এনে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল”। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বলেছেন, 'নির্লজ্জ বিপ্লব দেব সুপ্রিম কোর্টকেও মানছেন না'। তৃণমূলের প্রকাশিত ভিডিওতেও দেখা যাচ্ছে, মাথা ফেটেছে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মীর।
জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকার কারনে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয় সায়নিকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা।