করোনার প্রথম সারিতে থাকা ডাক্তার, নার্স এবং পুলিশকর্মীদের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন সব মহল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে সাংবাদিকরাও। যাঁরা রাস্তায় নেমে ক্রমাগত খবর সংগ্রহ করে সমাজের বিভিন্ন প্রান্তের সংবাদ আমাদের কাছে পৌঁছে দেন। সাংবাদিকদের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। প্রথমদিকে ডাক্তার, নার্স এবং পুলিশকর্মীদের বাধ্যতামূলক টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হলেও সাংবাদিকদের করা হয়নি, যদিও পরে সেই তালিকায় সাংবাদিকরা এসেছেন। তারপরও সাংবাদিক মৃত্যু আটকানো যাচ্ছে না।
দিল্লির পারসেপশন স্টাডিজ নামে এক সংস্থার রিপোর্টে দেখা গেছে, এপ্রিল ২০২০ থেকে ১৬ মে ২০২১ পর্যন্ত অন্তত ২৩৮ জন সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এগুলি নিশ্চিত হয়ে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তার বাইরেও অসংখ্য সাংবাদিক মৃত্যুর নাম নথিভুক্ত হয়নি। যে সকল সাংবাদিক রাস্তায় বেরিয়ে কিংবা অফিসে বসে কাজ করতেন তাঁদের করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ফিল্ড রিপোর্টার, চিত্রসাংবাদিক, ফ্রিল্যান্সার সবাইকে এই তালিকায় ধরা হয়েছে।
সাংবাদিক মৃত্যুর ঘটনা তেলেঙ্গানা এবং উত্তর প্রদেশের সবচেয়ে বেশি। তেলেঙ্গানায় গত এক বছরে ৩৯ জন, উত্তরপ্রদেশের ৩৭ জন, দিল্লিতে অন্তত ৩০ জন সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবাদিকদের ৩১ শতাংশের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, আর ১৫ শতাংশের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। ২৪ শতাংশ সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন যাঁদের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। সংবিধানের চতুর্থ স্তম্ভের করোনায় বলি সমাজের একটা বড় অংশ মেনে নিতে পারছেন না।