রবিবার সংসদ ভবন এবং নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনের অল্প দূরত্বের মধ্যে ঘটা একটি ঘটনায় দেশজুড়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির (Delhi) যন্তর মন্তরে একদল মানুষকে মুসলিম বিরোধী স্লোগান দিতে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকা দিল্লি বিজেপির (BJP) প্রাক্তন মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায়-সহ আরও ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, দিল্লির যন্তর মন্তরের সামনে একদল মানুষকে মুসলিম বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। "হিন্দুস্তান মে রেহনা হোগা, জয় শ্রীরাম কেহনা হোগা" এই স্লোগান অল্প সময়ের মধ্যেই স্যোসাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে। এই ঘটনায় আটক হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের উকিল তথা দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায়-সহ দীপক সিংহ হিন্দু, বিনীত ক্রান্তি, প্রীত সিংহ, সুদর্শন বাহিনীর প্রধান বিনোদ শর্মা এবং এবং পিঙ্কি ভাইয়া নামের আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজধানীর বুকে ঘটা এমন সাম্প্রদায়িক এবং ধর্মীয় উস্কানিমূলক ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন দিল্লি পুলিশের কমিশনার রাকেশ আস্থানা।
রবিবার স্যোসাল মিডিয়াতে এই ভিডিও ভাইরাল হয়। যদিও সোমবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রবল চাপের মুখে সোমবার রাতের দিকে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ বলে সূত্রের খবর। এই ভিডিওতে বারবার শোনা গেছে 'রাম রাম' ধ্বনি। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরের সামনে অশ্বিনী উপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রতিবাদে নেমেছিল একদল মানুষ। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা গজেন্দ্র চৌহান। প্রবল চাপের মুখে অশ্বিনী উপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি এই ঘটনা জানেন না। তিনি চলে যাওয়ার পর এই ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডাকা হয়। পরে আটক করা হয়েছে বলে খবর। সংসদ ভবনের অল্প দূরে এমন উস্কানিমূলক ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ।