জেলার নাম বদলের প্রতিবাদে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhrapradesh) পরিবহনমন্ত্রী পিনিপি বিশ্বরুপুর (Pinipe Viswarup) বাড়িতে আগুন ধরানোর অভিযোগ উঠল বিক্ষুব্ধ জনতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই আগুনের ঘটনায় মন্ত্রী এবং তার পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন রাজ্য পুলিশের ২০ কর্মী।অন্ধ্রপ্রদেশের কোনাসীমা (Konaseema) জেলার নাম বদল নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন স্থানীয়রা। এই বিক্ষোভ থেকেই হঠাৎ পরিবহনমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। জগনমোহন রেড্ডির মন্ত্রিসভার সদস্য পিনিপি বিশ্বরুপুর বয়স ৬০ বছর। পিনিপি রাজশেখর রেড্ডির সময় থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রিত্ব সামলেছেন।
বিষয়টা ঠিক কি?
মঙ্গলবার আমলাপুরমে জেলা কালেক্টরের অফিসে একটি সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যেখানে দলিত গোষ্ঠিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াইএসআরসিপি নেতৃত্বাধীন সরকার আলোচনা করে স্থির করে জেলার নাম রাখা হবে বি আর আম্বেদকরের নামে। এবিষয়ে বেঁকে বসে কিছুজন।বিক্ষোভকারীরা শহরের নাম একই রাখার দাবি জানান। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানেতি ভানিথা বলেছেন, "এই ঘটনায় প্রায় ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমরা সহিংসতার নিন্দা জানাই। সমস্ত রাজনৈতিক দল জেলার নাম পরিবর্তন করতে চায়। আমি শান্তির আবেদন জানাচ্ছি।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত মাসখানেক আগেই। এপ্রিল মাসে জেলা পুনর্গঠিত হয়ে নবগঠিত জেলার নামকরণ করা হয়েছে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের নামে, যেমন এনটিআর, আলুরি সীতারামা রাজু এবং আন্নামাইয়া। ৪ এপ্রিল অন্ধ্রের একটি নতুন জেলার নাম ঘোষণা করা হয়। পূর্ব গোদাবরী জেলা ভেঙে তৈরি হয় কোনাসীমা জেলা। এই কোনাসীমার নাম বদল নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। প্রশাসনের তরফে কোনাসীমার নাম বিআর আম্বেদকর কোনাসীমা বলে ঘোষণা করা হলে তার বিরোধিতা শুরু করেন স্থানীয়রা। রাজ্য সরকারের উপদেষ্টা সজ্জালা রামকৃষ্ণ রেড্ডি এই বিষয়ে বলেছেন, "জনগণের আশা-আকাঙ্খা বিবেচনা করে বিভিন্ন সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবং সমস্ত রাজনৈতিক দল এটিকে সমর্থন করেছিল।" তাঁর সংযোজন, "বিআর আম্বেদকর একজন মহান নেতা ছিলেন এবং তাঁর নামে একটি জেলার নামকরণে রাজ্য সরকারের কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ নেই। কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সহিংসতার জন্য দায়ী এবং শীঘ্রই সমস্যাটি মিটে যাবে।"