২৮ বছরের মাথায় রায় ঘোষণা হলো বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায়। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ সালে ঘটে যাওয়া ঘটনার সাথে ওইদিন ওখানে উপস্থিত থাকা নেতাদের কোনো যোগ খুঁজে পায়নি সিবিআই। ফলে সবাইকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হলো বুধবার। যখন মামলা শুরু হয় তখন তখন ৪৯ জনের নামে মামলা ছিলো। কিন্তু ১৭ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। ফলে এতদিন পরে বেঁচে থাকা ৩২ জনের বিচারের রায় বেরোলো।
বুধবার সিবিআই বিশেষ আদালতে রায় ঘোষণার সময় বার্ধক্য জনিত কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি আডবাণী, জোশী সহ ৫ জন। তাঁরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগদান করেন। বাকিরা সশরীরে উপস্থিত ছিলেন আদালতে।
এইদিন বিচারক জানান, ওইদিন সভায় উপস্থিত থাকা নেতাদের মসজিদ ভাঙার ঘটনায় সরাসরি কোনো যোগ পাওয়া যায়নি। ফলে মসজিদ ভাঙাটা ওখানে জড়ো হওয়া জনতার রোষের ফলে হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা মাত্র। আজ ২,৩০০ পাতার রায় ঘোষণা করে বিচারপতি সুরেন্দ্রকুমার বলেন, "মসজিদ ভাঙার ঘটনায় অভিযুক্তদের হাত ছিলো না। উল্টে তারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো। উন্মত্ত জনতাই এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। কিছু সমাজবিরোধী এই ঘটনার সাথে যুক্ত ছিলো।"
মামলাকারীদের পক্ষে যে ছবিগুলি প্রমাণ হিসাবে জমা দেওয়া হয়েছিল তার সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি তারা। ফলে আপাতত সিবিআই আদালতে ভেস্তে গেল। তবে মামলাকারীরা উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।