ঘটনার সূত্রপাত ২৬ জানুয়ারি, যেদিন কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলের পর কৃষক আন্দোলন নিয়ে শুরু হয় নানান জনমত। এরপরেই রাজনৈতিক তরজায় চলে নানান মতামত। এরপরেই ৩ফেব্রুয়ারি, সুইডেনের পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, আমেরিকার পপ গায়িকা রিহানা-সহ কয়েকজন আন্তর্জাতিক স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ট্যুইট করে কৃষক আন্দোলনের পক্ষে।
আর সেই ট্যুইটকে তোপ দাগিয়েই চলে ভারতীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের নানান মত। অনেকের ট্যুইটের ভাষা আবার হুবহু এক। কেউ স্বপক্ষে, কেউ বিপক্ষে ট্যুইট করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন। কৃষক আন্দোলন নিয়ে ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর এবং গায়িকা লতা মঙ্গেশকর সহ আরও বাকিদের এই ট্যুইটের তদন্ত করবে মহারাষ্ট্র সরকার।
কিন্তু ট্যুইটের তদন্ত কেন? মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ এবিষয়ে বলেন, ‘‘এই ট্যুইটগুলি সংঘবদ্ধ ভাবে করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ। সব ট্যুইট প্রকাশিত হওয়ার সময় প্রায় এক। যে ভাবে ঐক্যবদ্ধ আকারে ট্যুইট করা হয়েছে, তার পিছনে কোনও পরিকল্পনা রয়েছে।’’ পাশাপাশি, সুনীল শেট্টির ট্যুইটে বিজেপি নেতাকে ট্যাগ করার বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের সাথে সাক্ষাৎ করে এই নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিল কংগ্রেস। কারণ, তাদের মতে এই ট্যুইটের পেছনে আছে বিজেপির হাত। কংগ্রেস মুখপাত্র সচিন সবন্ত, এ বিষয়ে বলেন, ‘‘বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার, সুনীল শেট্টি, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব সচিন তেন্ডুলকর, সাইনা নেহওয়ালের মতো অনেকেই হুবহু একই ট্যুইট করেছেন। এমনকি অক্ষয়, সাইনার ট্যুইটের ভাষাও পুরোপুরি এক। সুনীলের ট্যুইটে আবার এক বিজেপি নেতাকে ট্যাগ করা। এই ধরনের ট্যুইট করার জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হয়েছিল কিনা, তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা উচিত। যদি সেটাই হয়, তা হলে এই সব জাতীয় হিরোদের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো দরকার।’’