নির্মাণ কাজের বরাত পাইয়ে দেবার জন্য আইপিএসের ভেক ধরে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দিনের-পর-দিন টাকা আদায় করতেন এক ব্যক্তি। আর সেই প্রতারণার অভিযোগে হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার হলেন এক বিএসএফ আধিকারিক। ঘটনাটি সামনে আসা মাত্র রীতিমতো চমকে গিয়েছেন পুলিশ কর্তারা এবং গোয়েন্দা সংস্থা গুলি।
জানা যাচ্ছে আজ ওই বিএসএফ আধিকারিকের বাড়ি তল্লাশি করে খোঁজ মিলেছে প্রায় ১৪ কোটি নগদ টাকা, ১ কোটি টাকার সোনার গয়না, বিএমডব্লিউ এবং মার্সিডিজ সহ নামিদামি ব্র্যান্ডের সাত আটটি গাড়ি। পুলিশ সূত্রের খবর সেই অভিযুক্তের নাম প্রবীন যাদব এবং তিনি গুরুগ্রামের মানেসর ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের সদরদপ্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন বিএসএফ ডেপুটি কমান্ডান্ট।
পুলিশের তরফ থেকে ইতি মধ্যেই প্রবীণকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং তার সাথে গ্রেফতার হয়েছেন তার স্ত্রী মমতা যাদব এবং বোন ঋতু যাদব। গুরু গ্রামের পুলিশ আধিকারিক প্রীত সিংহ বললেন, "শেয়ারবাজারে ৬০ লক্ষ টাকা খুইয়ে মানুষকে বোকা বানানোর ব্যবসায় নেমে ছিলেন প্রবীণ যাদব।" পুলিশের তদন্তকারী দল বলছে, 'আইপিএস অফিসার সেজে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড ক্যাম্পাসে নির্মাণের বরাত পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রোমোটারদের কাছে কোটি কোটি টাকা তুলতেন প্রবীণ। তারপর সেই টাকা এনএসজি নামে একটি ভুয়ো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিতেন। এই কাজে সাহায্য করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার বোন এবং তার স্ত্রীকে।