দিদি এলাকার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। জেনে ফেলেছিল নাবালিকা বোন। সে জানিয়েছিল বাড়ির লোকেদের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার কথা। পরিণামে যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে কে তা জানত!
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি এলাকার। এক বছর ১২-র নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তার ১৯ বছর বয়সী নিজের দিদি। দিদি এলাকার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল। সে খবর ছোট বোন জানতে পেরে যায়। সে বাড়ির লোকজনদের জানিয়ে দেওয়ার কথা বলে। দিদি তখন নিজের প্রেমিক-সহ ৬ জন বন্ধুকে দিয়ে নিজের বোনকেই ধর্ষণ করায়। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নাকি গোটা ঘটনাটি ঘটায়।
নাবালিকা মেয়েটির দেহ পাশের একটি আখ ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয়েছে। সূত্রের খবর, গণধর্ষণের ঘটনা চারজন ঘটিয়েছে। যাদের বয়স ২০-২৫ বছরের মধ্যে। গণধর্ষণের পর তারা নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। এলাকার লোকজন দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
ঘটনার পর সেই দিদি বাড়ি ফিরে আসে। সে নির্বিকার ভাবে ঘরের লোকজনদের সঙ্গে আচরণ করে। মেয়ে বাড়ি না ফেরায় সকলে খোঁজখবর শুরু করে। তখনও কিছু জানা যায়নি। তারপর স্থানীয় আখ ক্ষেত থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোটা ঘটনার পেছনে ছিল নাকি নিজের দিদিই। নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।