করোনা (Corona) সংক্রমণ ত্রাসে নাজেহাল দশা গোটা দেশের। গত বছরের মার্চ মাস থেকে কমবেশি দেশজুড়ে বন্ধ সমস্ত স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। চলতি বছরে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে মূল্যায়ন ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার কোন উপায় নেই। আগের পরীক্ষার নম্বর অনুযায়ী চলতি বছরে নম্বর পেতে চলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর রাজ্য সরকারি চাকরির (Government Job) ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিল অসম সরকার (Assam Government)। চলতি বছরের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের সরকারি চাকরির জন্য দিতে হবে বিশেষ পরীক্ষা। অন্য সময় সাধারণত অসমে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর প্রাপ্ত নম্বরে ওপর গুরুত্ব দেওয়া হত।
এই প্রসঙ্গে অসমের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (সেবা) ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (এএইচএসইসি) আধিকারিক উপস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রনোজ পেগু বলেছেন, "অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন ও পূর্ববর্তী পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে দুটি শ্রেণীর পড়ুয়াদের মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের যাদের প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা ছিল, তাদের দশম শ্রেণীর সেরা তিনটি বিষয়ের ৫০ শতাংশ নম্বর, প্র্যাকটিক্যালের ৩০ শতাংশ নম্বর, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে ১০ শতাংশ নম্বর এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর উপস্থিতির ভিত্তিতে ১০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে। যাদের প্র্যাক্টিকাল নেই তাদের দশম শ্রেণীর সেরা তিনটি বিষয়ের উপর ৫০ শতাংশ নম্বর, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে ৪০শতাংশ নম্বর এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি উপস্থিতির ভিত্তিতে ১০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে।"
অন্যদিকে, দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে নবম শ্রেণির পরীক্ষার ভিত্তিতে ৪০ শতাংশ নম্বর, দশম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে ৪০ শতাংশ নম্বর ও অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে। তবে চলতি বছরের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর নম্বরের ভিত্তিতে পড়ুয়ারা সরকারি চাকরি পাবে না। সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য পরবর্তীকালে বিশেষ পরীক্ষা অর্থাৎ স্পেশাল এলিজিবিলিটি টেস্ট দিতে হবে।