"স্টপ পুতিন, স্টপ ওয়ার", ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে প্রতিবাদের ঝড় বিশ্বজুড়ে
ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেন আক্রমণের ঘোষণা করে রাশিয়া
কয়েক সপ্তাহ জুড়েই চলছিল চাপানউতোর পর্ব। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়ছিল গোটা দুনিয়াবাসীর। আন্তর্জাতিক মহলে ছিল চরম ব্যস্ততা যাতে এই যুদ্ধ থামানো যায়। তবে সবকিছু বৃথা গেল। ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেন আক্রমণের ঘোষণা করল রাশিয়া। আর তার পরমুহূর্তেই ইউক্রেনের সাতসকালের আকাশ ভরে গেল কালো ধোঁয়া এবং বারুদের ঝাঁঝালো গন্ধতে। সকালের পর থেকে ইউক্রেনের আকাশে চলছে যুদ্ধবিমানের নিরন্তন আনাগোনা। রাশিয়ার এমন ভয়ঙ্কর রূপ দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা বিশ্বজুড়ে। জায়গায় জায়গায় চলছে প্রতিবাদ আন্দোলন এবং সকলের দাবি যাতে এই যুদ্ধ বন্ধ হোক। কিন্তু উত্তেজনা কমা তো দূরের কথা, যতই সময় যাচ্ছে ততই রাশিয়ার আগ্রাসী আক্রমণের চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি, রাশিয়ার এমন আচরণকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাজি জার্মানির তুলনা করেছেন। সেইসাথে তিনি সকল ইউক্রেনিয়ান নাগরিককে পুতিনের এমন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার মানুষ পুতিনের বর্বরতা থামিয়ে এই যুদ্ধবিরতির জন্য প্রতিবাদ করছেন। জায়গায় জায়গায় বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মানুষেরা ইউক্রেনের হলুদ নীল পতাকা তুলে "স্টপ পুতিন, স্টপ ওয়ার" বা "ইউক্রেন উইল রেসিস্ট" বা "সে নো টু পুতিন স্লোগান" দেওয়া শুরু করেছেন।
অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, বার্সেলোনা, হ্যামবার্গ, মাদ্রিদ, তুর্কি, ফ্রাঙ্কফ্রুট ইত্যাদি সমস্ত বিশ্বের বড় বড় শহরে মানুষ রাস্তায় নেমে এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে এবং পুতিনকে যুদ্ধ থামানোর জন্য স্লোগান দিচ্ছে। বার্লিন শহরের একটি স্থাপত্য ইউক্রেনের হলুদ নীল পতাকার আলো জ্বালিয়ে রাশিয়ার কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রচুর সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য পুতিনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়।
এছাড়াও রাশিয়ার মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গ ইত্যাদি বড় বড় শহরে মানুষ একত্রিত হয়েছে পুতিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য। এমন বহু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক ভাইরাল হচ্ছে। অনেক জায়গায় প্রতিবাদমুখর জনতাকে গ্রেফতার করেছে রুশ পুলিশ। এমন পরিস্থিতিতে আগামীদিনের সকাল কি করে হবে ইউক্রেনে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।