নির্ধারিত সময়ের আগেই আফগানিস্তান ছাড়ল মার্কিন সেনা

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 31/08/2021   শেষ আপডেট: 31/08/2021 9:07 a.m.
twitter.com/usarmy

আমেরিকার ঘোষণার পরই তালিব বাহিনীতে উৎসবের মেজাজ

তালিবানদের (Taliban) হুঁশিয়ারি ছিলই ৩১ অগাস্টের মধ্যে সমস্ত আমেরিকান সেনা (US Army) প্রত্যাহার করে নিতে হবে। আফগানিস্তান (Afghanistan) দখলের পর থেকেই একের পর এক বার্তায় সেই হুঙ্কার দিচ্ছিল তালিবান। তবে নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগেই আমেরিকা সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে নিল বলে সূত্রের খবর। দীর্ঘ ২০ বছর যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে আফগানিস্তানের মাটিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তালিবানি রাজ কায়েমের শেষ ভিত্তিপ্রস্তর তৈরি হয়ে গেল গতকাল।

পেন্টাগন সূত্রে খবর, নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগে অর্থাৎ ৩০ অগাস্টই সমস্ত মার্কিন সেনাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর কোন মার্কিন সেনা আফগানিস্তানের মাটিতে নেই। সূত্রের খবর, শেষ আমেরিকান সৈন্য মেজর জেনারেল ক্রিস ডোনাহিউ সি ১৭ বিমানে উঠতেই আমেরিকা জানিয়ে দেয় আফগানিস্তানের মাটিতে তাদের আর কোন সৈন্য মোতায়েন নেই। তবে তাদের দেশের সাধারণ নাগরিকদের এবং নিরীহ আফগান কিংবা প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের মুক্তির বিষয়ে আমেরিকার পূর্ণ সহযোগিতা থাকবেই। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানিয়েছেন, সেনা প্রত্যাহার করে নিলেও সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারে তাদের অভিযান জারি থাকবে। কাবুল বিমানবন্দর আবার চালু হলেই চ্যাটার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদের প্রস্থান নিশ্চিত করবে মার্কিন সেনা।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদে আফগানিস্তান থেকে সরানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আমেরিকান-সহ অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও আছেন। আফগানিস্তানে ২০ বছরের মার্কিন সেনার উপস্থিতি আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হল। আজ আফগানিস্তানে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে পারেন। মার্কিন সেন্ট্রাল সেনা কমান্ডার জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি গতকাল জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তান থেকে শেষ সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। পেন্টাগনের রিপোর্ট, এবার থেকে আফগানিস্তান বিষয়ে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় থাকবে নতুন অফিস কাতারের দোহা থেকে।

এদিকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণায় সে দেশে তালিবানদের কাছে উৎসবের মেজাজ। সূত্রের খবর, শূন্যে মুহুর্মুহু গুলি ছোঁড়া হয়। কাবুলের আকাশে ঘনঘন রকেট ছোঁড়ার আওয়াজ শোনা যায়। তালিবানি সৈন্যরা রাস্তায় বেরিয়ে আনন্দ উৎসব করতে থাকে। সব মিলিয়ে তালিবানি মহলে খুশির ঢল নেমেছে বলে সূত্রের খবর। তবে ভবিষ্যত কোন দিকে ধাবিত হবে সে নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওয়াকিবহাল মহল।