শান্তি বৈঠকে মুখোমুখি ইউক্রেন এবং রাশিয়া, বেলারুশ সীমান্তে চলছে বৈঠক
এই শান্তি বৈঠকের আগে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের তরফ থেকে তাদের বার্তা একেবারে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে
ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে সমস্যা ইতিমধ্যেই বহু দূর গড়িয়েছে। যুদ্ধ থেকে শুরু করে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক বিচ্ছেদ সব কিছুই ঘটে গিয়েছে বিগত কয়েকদিনে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রথমদিকে যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিলেও পরবর্তীতে তাকে কিছুটা ম্রিয়মাণ দেখেছি আমরা। এখন তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি বৈঠক করতে প্রস্তুত। ইউক্রেন সরকারও এই বৈঠকে না করেনি। ইউক্রেন সরকারের তরফ থেকেও এই মর্মে সদিচ্ছা জানানো হয়েছে। তার মধ্যেই এবার একটি বড় খবর এলো ইউক্রেন সরকারের তরফ থেকে। জানা যাচ্ছে, ইউক্রেন এবং বেলারুশ সীমান্তে ইতিমধ্যেই শান্তি বৈঠকের জন্য পৌঁছে গিয়েছে ইউক্রেনের একটি প্রতিনিধিদল। তাদের মূল বক্তব্য, যেনো ইউক্রেনের সীমানা থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেনা প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া। তাদের আরও দাবি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেন ভূখণ্ডে সমস্ত রকমের গোলাবারুদ বর্ষণ বন্ধ করে রাশিয়া।
আগে জানানো হয়েছিল, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে কিছু অন্তর্বর্তী সমস্যার জন্য এই বৈঠক কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে নিজেদের দাবি কোনদিনই পাল্টানো হয়নি। তারা সব সময় দাবি রেখে গেছে যেনো রাশিয়া সেনা ইউক্রেন ভূখণ্ড থেকে সরে যায়। তবে শুধু রাশিয়ার বিরুদ্ধে নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছেও কিছু দাবি রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। তিনি দাবি রেখেছেন যেন খুব শীঘ্রই সম্ভব, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া হয় ইউক্রেনকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের উদ্দেশ্যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেন সেনা প্রবলভাবে রাশিয়ার সেনাকে প্রতিহত করে তাদের আক্রমণ রোখার চেষ্টা করে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের আরো অভিযোগ, তারা যাইটমির এবং চেরনিগিভের মত শহরে মিসাইল অ্যাটাক করেছে এবং সেখানে বাসিন্দাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে।
শান্তি বৈঠকের আগে সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার উদ্দেশ্যে একটি বার্তা রাখেন। তিনি বলেন, "ইতিমধ্যে ইউক্রেন এবং বেলারুশের সীমান্তে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের তরফ থেকে। তারা রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করবে। আমরা দাবি রাখবো যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাশিয়া আমাদের ভূখণ্ড থেকে সেনা সরিয়ে নেয় এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ করে।" শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, ইতিমধ্যেই এই দুটি প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করে ফেলবে দুটি দেশ।