"রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক ইউক্রেনের নাগরিকদের অস্ত্র দেবে সরকার", ঘোষণা ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আর্জি ইউক্রেনের
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে তোলপাড় চলছে গোটা আন্তর্জাতিক মহল। রাশিয়ার প্রস্তুতি বেশ কয়েক মাস আগে থাকতেই চোখে পড়ার মতো ছিল। সামরিক মহড়ার অছিলায় বেলারুশে রুশ সেনার প্রবেশের পর এই আশঙ্কা করা হয়েছিল এবার যুদ্ধ লাগতে চলেছে। ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ইউক্রেনের ওপর হামলা চালানো শুরু করে রাশিয়া। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমারু বিমান নিয়ে হামলা চালাচ্ছে তারা। তবে পাল্টা জবাব দিয়েছে ইউক্রেন সেনারাও। তাঁদের দাবি, "রাশিয়ার পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি হেলিকপ্টারকে গুলি করে নামানো হয়েছে। তবে অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রক পাল্টা দাবি করেছে, ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর ঘাঁটি তারা গুঁড়িয়ে দিয়েছে।"
অন্যদিকে, আমেরিকা সতর্কবার্তা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে আজ সকালে। তাদের ভবিষ্যৎবাণী ছিল রাশিয়া ইউক্রেনের উপর সাইবার হামলা করতে পারে। সেই জল্পনা সত্যি করেই বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সামরিক অভিযান চালানোর পর পরই ইউক্রেনের নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ, বিদেশ ও শিক্ষামন্ত্রকের সরকারি ওয়েবসাইটগুলি একের পর এক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া সামরিক আক্রমণের পাশাপাশি সাইবার আক্রমণ করে ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিতে চায়।
এতকিছুর মাঝেই ভারতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ডক্টর ইগোর পোলিখা বলেছেন, "আমি জানি না কতজন রাষ্ট্রনেতার কথা পুতিন শুনবেন। কিন্তু আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে কথা তুললে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে পারেন তিনি। এক্ষেত্রে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগেও ভারত অনেকসময় শান্তিরক্ষার কাজ করে এসেছে। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ভারত এবারের নিজেদের দায়িত্ব পালন করুক।"
ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের ৪০ জনের বেশি ফৌজির মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ জন সাধারণ নাগরিক মারা গিয়েছেন। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এবার ট্যাঙ্ক নিয়ে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। এই প্রসঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর স্কলৎজ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে হঠাৎ করে বলেছেন যে ইউরোপের শান্তি নষ্ট করছে পুতিন। অন্যদিকে বেলারুশ নিজেদের সেনা রাশিয়াকে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন।
এই পরিস্থিতির মাঝেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি দেশের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন যে যারা রুশ সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত, তাঁদের সকলকে অস্ত্র দেবে সরকার। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে বিশ্বের বড় বড় শক্তির সাথে তাঁর কথা হয়েছে এবং তিনি অ্যান্টি পুতিন ফোর্স গঠন করতে চান। সকলে মিলে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে হবে।