পঞ্চশির দখলের মরিয়া চেষ্টায় আরও বাহিনী পাঠাচ্ছে তালিবানরা, বাড়ছে সংকট
'শয়ে শয়ে যোদ্ধাদের পাঠাচ্ছে তালিবান' সূত্রের খবর
আফগানিস্তানের (Afghanistan) গোটা এলাকা তালিবানদের দখলে এলেও এখনও পর্যন্ত পঞ্চশির উপত্যকা বুক ঠুকে রক্ষা করে চলেছে মাসুদ বাহিনী। তাদের সঙ্গে বেশ কিছু আফগান সেনাও যোগ দিয়েছে বলে খবর। দেশের প্রায় ৯৮ শতাংশ নিজেদের কব্জায় নিলেও পঞ্চশির প্রদেশ এখনও নর্দার্ন অ্যালায়েন্স বাহিনীর প্রতিরোধে দখল নিতে পারেনি। সূত্রের খবর, পঞ্চশির দখলে ফের নয়া উদ্যমে কাজ শুরু করেছে তালিবানরা (Taliban)। ইতিমধ্যেই শয়ে শয়ে তালিব সেনা রওনা দিয়েছে বলেও খবর।
আফগানিস্তানের একের পর এক প্রদেশ তালিবানদের দখলে এলেও এখনও পর্যন্ত পঞ্চশির প্রদেশ তারা দখল করতে পারেনি। এই প্রদেশ দখল করতে গিয়ে বারবার মাসুদ বাহিনীর কাছে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করেছে তারা। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আশরফ গনি জমানার ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ্। এখানেই শেষ নয়, গত কয়েক দিনে অসংখ্য আফগান সেনাও এই বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এমন অবস্থায় সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে তালিবানরা। এই পঞ্চশির প্রদেশ দখলের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এরপরও আফগানিস্তানের বেশিরভাগ জায়গা তালিবানদের কব্জায় এলেও পঞ্চশির প্রদেশ এখনও দখল করতে পারেনি।
অন্যদিকে, তালিবানরা এক টুইট মারফত জানিয়েছে, অন্যান্য প্রদেশ শান্তিপূর্ণ ভাবে আত্মসমর্পণ করলেও পঞ্চশির প্রদেশ তা করেনি। তাই এই প্রদেশ দখলের জন্য 'শয়ে শয়ে যোদ্ধাদের পাঠাচ্ছে তালিবান'। এমনকী তালিবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক বহু আফগান সেনাও সেখানে জড়ো হয়েছে। নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের নেতা আহমেদ মাসুদ জানিয়েছেন, "আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে পূর্বতন আফগান সরকারের বহু সেনা পঞ্জশিরে এসেছেন।" এমন অবস্থায় আফগানিস্তানের পঞ্চশির প্রদেশকে কেন্দ্র করে ফের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এদিকে আফগানিস্তানের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবার জি-৭-এর জরুরি বৈঠক ডাকলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তালিবানদের সঙ্গে কাজ করতে রাজি তারা। তালিবানদের জন্য চিন ও পাকিস্তানের সরাসরি সহায়তা এবং রাশিয়ার প্রচ্ছন্ন সমর্থন ভারতকে চিন্তায় রেখেছিল। এবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর এ হেন বক্তব্য নয়া দিল্লির কাছে বাড়তি চাপ এল মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক একাংশ।