কাবুলের নিকটেই তালিবানরা, নতুন সেনা পাঠাচ্ছে আমেরিকা
আফগানিস্তানে সেনা পাঠালে ফল ভাল হবে না, ভারতকে সরাসরি হুঁশিয়ারি তালিবানের
আগের ঘোষণা মতোই সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে পাকাপাকি সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিল আমেরিকা (America)। কিন্তু গত কয়েক দিনে যেভাবে তালিবানরা একের পর এক আফগানিস্তানের শহরগুলি দখল করে নিচ্ছে, তাতে তীব্র আশঙ্কায় রয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশের দূতাবাসের কর্মীদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিবানরা যেভাবে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের (Kabul) দিকে ক্ষিপ্রগতিতে এগিয়ে আসছে, তা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এমন অবস্থায় কাবুলে থাকা মার্কিন নাগরিক এবং দূতাবাসের অবস্থা সুরক্ষিত করতে আমেরিকা ফের সেনা পাঠাচ্ছে বলে খবর। জানা গেছে, কাবুল থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে তালিবানদের অবস্থান। এখনই যদি তাদের রুখে না দেওয়া হয়, তাহলে খুব শীঘ্রই হেরাট, কান্দাহার শহরের মতো কাবুলও তালিবানদের দখলে চলে আসবে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সূত্রের খবর, আফগানিস্তানে নতুন করে প্রায় তিন হাজার সেনা পাঠাচ্ছে আমেরিকা। গতকালই একটি বাহিনী আফগানিস্তানের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। রবিবারের মধ্যেই এই বিশেষ সেনা কাবুলে পৌঁছে যাবে বলে খবর। আফগানিস্তানে থাকা মার্কিন নাগরিকদের পাশাপাশি অন্যান্য নাগরিক এবং বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলি এই বিশেষ সেনার সহায়তা পাবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনের তালিবানি আগ্রাসনে কাবুলের সাধারণ নাগরিক ভীত, সন্ত্রস্ত। তাঁদের মনোবল ফিরিয়ে আনতে এই বিশেষ সেনাদল বড় ভূমিকা পালন করবে বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।
অন্যদিকে আফগানিস্তানে ক্রমাগত তালিবানি আগ্রাসন অত্যন্ত চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মুখ্যসচিব আন্তেনিও গুতেরিস বলেছেন, "আফগানিস্তানের নারীদের উপর অত্যাচারের কথা সংবাদে উঠে আসছে। যা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক এবং ভয়ঙ্করও বটে।" তালিবানদের আগ্রাসন ভারতের কাছেও মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। এরমধ্যেই তালিবানরা জানিয়ে দিয়েছে, ভারত সেনা পাঠালে তা সে দেশের জন্য ভাল হবে না। পাশাপাশি ভারত আফগানিস্তানের উন্নয়নের জন্য যে কাজ করছে, তাকে মান্যতা দিয়েছে তালিবানরা। প্রতিদিনের নতুন নতুন ঘটনায় জেরবার সে দেশের সাধারণ মানুষ। সরকার তালিবানদের সঙ্গে সমঝোতার পথ বেছে নিলেও ফের আমেরিকার সেনা পাঠানোয় তৈরি হয়েছে নতুন এক সমীকরণ। তা ফলাফল জানতে আরও অপেক্ষায় থাকতে হবে। তবে এর মধ্যেই তালিবানদের আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের জনজীবন নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সব মহলে।