প্রযুক্তিগত অক্ষমতা! বিমানবন্দর সচলে বিদেশিদের দ্বারস্থ তালিবান
ইতিমধ্যেই কাতারের এক বিশেষজ্ঞ টিম কাবুলে পৌঁছেছেন বলে সূত্রের খবর
তালিবানরা (Taliban) আফগানিস্তান (Afghanistan) দখলের পর থেকেই সে দেশের অচলাবস্থা অব্যাহত। তবে ধীরে ধীরে সে দেশের সামগ্রিক অবস্থার পট পরিবর্তন ঘটছে। এবার ক্ষমতা দখলের পর কাবুল বিমানবন্দরকে যত দ্রুত সম্ভব সচল করার চেষ্টায় তৎপর হয়ে উঠেছে তালিবানরা। এক বিশেষজ্ঞ দল ইতিমধ্যেই কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে (Kabul Airport) অবস্থান করছেন তালিবানদের সহায়তার জন্য। তবে তাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় যে শর্তগুলো রয়েছে, সেগুলো এখনও পর্যন্ত আলোচনার পর্যায়ে। তাই কাজ শুরু হয়নি বলে খবর।
সূত্রের খবর, বিমানবন্দর মেরামত এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য তালিবানরা সাহায্য প্রার্থনা করে। তাদের সহায়তার জন্য কাতারের এক বিশেষজ্ঞ টিম কাবুল বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত শর্তে শিলমোহর পড়েনি বলে কাজ শুরু হয়নি। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তালিবানদের অনুরোধে এই বিশেষজ্ঞ টিম এসেছে। তাদের স্পষ্ট দাবি, ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া এবং উদ্ধারকার্যের জন্য হলে এই টিম কাজ করতে রাজি। এখনও শর্ত ও চুক্তি নিয়ে তালিবানদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে খবর।
অন্যদিকে, তালিবানের শীর্ষ নেতা আনাস হাক্কানি জানিয়েছে, "বিশেষজ্ঞ দলটি কাবুল বিমানবন্দরের পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে দেবে। দ্রুত বিমান চলাচল পরিষেবা চালু হবে।" যদিও বিমানবন্দর নষ্ট হওয়ার পুরো দায়-ই পশ্চিমি শক্তিগুলির ঘাড়ে চাপিয়েছেন তিনি। হাক্কানির অভিযোগ, "উদ্ধারকার্য চালানোর সময় পশ্চিমি শক্তিগুলি বিমানবন্দর নষ্ট করেছে।" সূত্রের খবর, দেশ ছাড়ার আগে আফগান বায়ুসেনার বেশকিছু বিমান অকেজো করে যায় মার্কিন সেনা। এই মুহূর্তে বিমানবন্দর দখল নিলেও তার প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলো মেরামত করে করে পুনরায় কাবুল বিমানবন্দর সচল করার ক্ষমতা তালিবানদের নেই। এমন অবস্থায় তালিবানদের অনুরোধে কাতারের একটি বিশেষজ্ঞ দল এই কাজে সম্মত হয়েছেন, তবে জুড়ে দিয়েছেন বেশ কিছু শর্ত। এখন দেখার বিষয় বিমানবন্দর সচল হয়ে কতদিনে বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হয়!