দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে তালিবানের মুখে নারিসুরক্ষা, নারীদের অধিকারের কথা
স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য কর্মক্ষেত্রেও মহিলারা কাজ করতে পারবেন বলে এদিন ঘোষণা করেন তালিবান মুখপাত্র
এ যেন ভুতের মুখে রাম নাম! যে জঙ্গিরা ধ্বংস, আগ্নেয়াস্ত্রের চোখরাঙ্গানি, ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া কিছু বোঝে না, তারাই বলছে দেশে নিয়ে আসবে শান্তি! ২০০১ সাল পর্যন্তও মেয়েরা বোরখা না পরলে যাদের চাবুক কথা বলত, আজ তাদেরই মুখে শোনা যাচ্ছে নারীর সমান অধিকারের কথা। ঘটনাটা গল্পের গরুর গাছে ওঠার মতো লাগলেও আদতে তাই হচ্ছে আফগানিস্তানে, অন্ততপক্ষে সেরমটাই বলছে আফগানের নবনির্মিত তালিবান সরকার।
প্রসঙ্গত, গত পরশু আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নিজেদের অধিকার কায়েম করেছে তালিবানিরা। দেশের রাষ্ট্রপতি গাড়ি ভর্তি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন অন্য রাষ্ট্রে। আফগানিস্তানে নিজেদের সরকারও প্রায় গঠন করে ফেলেছে তালিবান জঙ্গিরা। তবে দেশের ক্ষমতা দ্বিতীয়বারের জন্য তুলে নেওয়ার পর প্রথম প্রেস কনফারেন্সে আগের থেকে অনেকটাই সূর নরম তালিবানিদের।
এদিন তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, তাঁরা সকলকেই ‘ক্ষমা’ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, তাঁরা একটি নিরাপদ দেশ গড়ে তুলবেন যেখানে নারীদের অধিকারকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। জাবিউল্লাহর কথায়, তালিবানেরা ইসলামি আইন মেনে নারীদের সুরক্ষা ও অধিকার প্রদানে বদ্ধপরিকর। স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য কর্মক্ষেত্রেও মহিলারা কাজ করতে পারবেন বলেই এদিন জানান তালিবান মুখপাত্র।
তালিবানিরা আফগানিস্তান পুনর্দখল করার পর থেকেই আফগানবাসীর মনে জেগে উঠেছিল নানা আতঙ্ক। তাঁদের হানা দিচ্ছিল বহু পুরনো স্মৃতি। তবে এই সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে তাঁরা বুঝিয়ে দিলেন এখনের তালিবান আর ২০০১-এর তালিবানের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। এই তালিবান অনেকটাই নরমপন্থী। তাঁরা শুধু ধর্মীও মৌলবাদকে অন্ধের মতো ধাওয়া করে না। অন্তত তাঁদের কথায় তেমনটাই প্রমান পাওয়া যাচ্ছে। তবে তাঁদের এই কথার গ্রহণযোগ্যতা কতটা, তা সময়ই বলবে!