আফগানিস্তানে নতুন সরকার গড়ছে তালিবান, অতিথি চিন-পাকিস্তান-রাশিয়া
ইতিমধ্যেই আমন্ত্রনের বিষয় নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার এক সংবাদমাধ্যম
বেশ কিছুদিন ধরেই আফগানিস্তানের আকাশে তালিবান সরকার গঠনের কথা ভাসলেও তাতে বাধ সাধছিল পঞ্জশির প্রদেশ। কিন্তু বিগত দুদিনের পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। তালিবান ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, পঞ্জশিরও এখন তাদের দখলে। নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের নেতা আহমেদ মাসুদ পঞ্জশির প্রদেশ থেকে এখনও লড়াই করার বার্তা জারি রাখলেও সেখানের সদর দফতরে দেখা মিলেছে তালিবানি পতাকার। ফলে বলাই যায়, যদিও কোনপ্রকারে পঞ্জশির প্রদেশ এখনও তালিবান মুক্ত থাকে, তবে তা আর বেশীদিনের জন্য নয়। আর এই ঘটনার পরে সে দেশে তালিবানের সরকার গঠন প্রায় নিশ্চিত।
এবিষয়ে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তানে এবার দ্রুত সরকার গঠনের কাজ শুরু করবে তালিবান। তার প্রস্তুতিও শুরু করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। কাবুল বিমানবন্দরও দ্রুত চালু করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জাবিউল্লাহ। তবে এখনও পর্যন্ত তালিবানের পঞ্জশির দখলের দাবীকে নস্যাৎ করছেন নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের নেতা-যোদ্ধারা।
এদিকে আফগানিস্তানে সরকার গঠনের খবর প্রায় নিশ্চিত হতেই তালিবানের তরফ থেকে আমন্ত্রন পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন দেশকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নতুন সরকার গঠনের অনুষ্ঠানে চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, তুরস্ক, কাতার এবং ইরানকে আমন্ত্রন জানিয়েছে তালিবান।
আমন্ত্রন জানানোর খবরে ইতিমধ্যে সিলমোহর বসিয়েছে রাশিয়া। একটি রাশিয়ান সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, নতুন সরকার গঠন অনুষ্ঠানে রাশিয়া সহ বেশ কিছু দেশকে আমন্ত্রন জানিয়েছে তালিবান।
সরকার গঠন নিয়ে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লার কথায়, সরকার গঠন সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সাথে আলোচনার জন্য তালিবানের তরফ থেকে বানানো হয়েছে একটি কমিটি। কমিটির সদস্য খলিল হাক্কানি আপাতত বিভিন্ন গোষ্ঠীর সাথে আলোচনা চালাচ্ছেন। সূত্রের খবর, তালিবান আফগানিস্তানে সরকার গঠন করলে তার প্রধান হবেন জঙ্গি গোষ্ঠীরই সহ প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল ঘনি বরাদার।