Panjshir : পঞ্চশিরের সদর দফতরে উড়ছে তালিবানি পতাকা, যদিও মাসুদ বাহিনীর দাবি 'লড়াই চলছে'

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 06/09/2021   শেষ আপডেট: 06/09/2021 12:26 p.m.
https://twitter.com/Ozkok_A

অবশেষে পঞ্চশির কি তালিবানের দখলে? নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের শান্তিচুক্তির আহ্বান ব্যর্থ, রিপোর্ট

গতকালই নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের অন্যতম প্রধান নেতা আহমেদ মাসুদ (Ahmad Massoud) জানিয়েছিলেন শর্তসাপেক্ষে যুদ্ধবিরতির জন্য তাঁরা প্রস্তুত। আর সোমবার তালিবানের (Taliban) দাবি, পঞ্চশির (Panjshir) এখন তাদের দখলে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এমনটাই দাবি করেছে তালিবান। সোমবার তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিরুল্লা মুজাহিদ দাবি করেছেন, আফগানিস্তানের শেষ প্রদেশ পঞ্চশির এখন তাদের দখলে। গোটা আফগানিস্তানই এখন তাদের দখলে। যদিও নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের স্পষ্ট দাবি তালিবানের এই দাবি ভিত্তিহীন। এখনও লড়াই চলছে।

সোমবার দেখা গেছে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের সদর দফতরে তালিবানের পতাকা উড়ছে। এমনকী সামাজিক মাধ্যমে সেই পতাকা ওড়ার ভিডিও এবং ছবি এই মুহুর্তে ভাইরাল। যদিও 'ন্যাশনাল রেজিট্যান্স ফ্রন্ট অফ আফগানিস্তান' এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, "তালিবানের পঞ্জশির দখলের দাবি মিথ্যা, ভিত্তিহীন। এখনও সেখানে প্রতিরোধ বাহিনী রয়েছে। আমরা লড়াই করছি। আমরা আফগানদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যত দিন না স্বাধীনতা ও নিজেদের অধিকার ফিরে পাব তত দিন লড়াই জারি থাকবে।"

উল্লেখ্য, গতকালই নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের অন্যতম প্রধান নেতা আহমেদ মাসুদ জানিয়েছিলেন, পঞ্চশির প্রদেশ-সহ পাশাপাশি আন্দারব থেকে তালিবান সেনা সরিয়ে নিলে এবং পরবর্তী আর আক্রমণ নয় এই কথা গ্রহণ করলে তবেই মাসুদ বাহিনী আলোচনায় বসতে রাজি। এমনকী এই আলোচনার পরেই দু'পক্ষের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হতে পারে, তবে সবটাই নির্ভর করছে তালিবানের শর্তসাপেক্ষে শান্তিপূর্ণ চুক্তির উপর। কিন্তু এই ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তালিবান পঞ্চশির প্রদেশ দখল করে নিয়েছে বলে দাবি করেছে। ১৫ অগাস্ট কাবুল দখলের পর তালিবানের বিজয়রথ সাময়িক ভাবে শেষ হয়। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আসরফ ঘানি দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এই পথ আরও সহজ হয়। যদিও দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ্ বুক ঠুকে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের সঙ্গে লড়াই জারি রেখেছেন বলে বারবার দাবি করেছেন। ইতিমধ্যেই দু'পক্ষের অসংখ্য সেনা নিহত হয়েছেন। বহু প্রতিরোধের পর অবশেষে পঞ্চশির প্রদেশ দখলে এল তালিবানের, এমনটাই দাবি করা হয়েছে তালিবানের পক্ষ থেকে।