আগামী এক বছরের মধ্যে ৫ বিলিয়ান করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বানাবে ভারত, জি-টোয়েন্টি বৈঠকে বললেন মোদি
পারস্পরিক ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেশন নিয়ে বড় মন্তব্য রাশিয়া প্রেসিডেন্ট পুতিনের
জি-টোয়েন্টি বৈঠক করার জন্য বর্তমানে বিদেশ সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজকের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ভারতের করোনাভাইরাস বিজয় এবং ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে বেশ কিছু বড় ঘোষণা করলেন। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির আজকের ভাষনে জানালেন, আগামী বছরের মধ্যে ভারত ৫ বিলিয়ান করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরি করবে। আগামী বছরের মধ্যে সারা বিশ্বে এই ভ্যাকসিন ছড়িয়ে পড়বে। তার পাশাপাশি, বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীঙলা জানালেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে ভারত ভ্যাকসিন প্রদান করবে এবং সারা বিশ্বের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপনের সচেষ্ট হবে ভারত। আজকের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনাভাইরাস এর সঙ্গে যুদ্ধে ভারতের অবদান নিয়ে বেশ কিছু কথা উল্লেখ করলেন।
অন্যদিকে, শ্রিংলা বললেন, "প্রথম বক্তৃতায় ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানালেন ভারত কিভাবে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সারাবিশ্বকে সাহায্য করেছে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, ভারতে তৈরি হসপিটাল সাপ্লাই বিশ্বের ১৫০ এর বেশি দেশে পাঠানো হয়েছিল। করোনাভাইরাস এর সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের মূলমন্ত্র হলো এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্য। এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে আমরা সারা বিশ্বের জন্য করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ব্রতী হয়েছি। আমরা মনে করি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতে তৈরী এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়ে বহু মানুষকে সাহায্য করেছে। শুধুমাত্র ভারত নয়, এবারে সারা বিশ্বের কাছে আমাদের ভারত বায়োটেক এর তৈরি ভ্যাকসিন পৌঁছে যেতে পারবে।"
অন্যদিকে আজকের বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বললেন, সমস্ত জি-টোয়েন্টি দেশগুলিকে একসাথে মিলে পারস্পরিক ভ্যাক্সিনেশন সার্টিফিকেটের জন্য কাজ করা উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাক্সিনেশন সার্টিফিকেশনের জন্য অবশ্যই তাদের কাজের গতি বৃদ্ধি করা দরকার। পুতিন আরো বললেন, রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক' ভ্যাকসিন বর্তমানে ৭০ এর বেশি দেশে অনুমোদন পেয়েছে এবং প্রায় ৪ বিলিয়নের বেশি মানুষ এই স্পুটনিক ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পারবে। স্পুটনিক ভ্যাকসিনটি অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যথেষ্ট কার্যকরী। তিনি আরো জানালেন, রাশিয়া বর্তমানে ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে সেই সমস্ত দেশে এই স্পুটনিক' ভি ভ্যাকসিন পৌঁছানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।