প্রায় ৪০০০ দামি গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল কার্গো জাহাজ, মাঝসমুদ্রে লাগল আগুন
ভোল্কসওয়াগন গ্রুপের ৩৯৬৫ টি বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিল জাহাজটি
মাঝসমুদ্রে কার্গো জাহাজে (cargo ship) আগুন। জাহাজে ছিল অডি (Audi), পোরশা (Porsche), ল্যামবর্গিনি-সহ (Lamborghini) ভোল্কসওয়াগন গ্রুপের (Volkswagen AG) প্রায় ৪০০০ টি গাড়ি। বিপুল পরিমাণে ক্ষতির আশঙ্কা। তবে সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করা হয়েছে কার্গোর ক্রু’দের।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া জাহাজটির নাম ফেলিসিটি এস (Felicity Ace)। এটি পানামার একটি কার্গো জাহাজ। ভোল্কসওয়াগন গ্রুপের ৩৯৬৫ টি বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে জাহাজটি বিদেশে পাড়ি দিয়েছিল। তবে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আটলান্টিক মহাসাগরে এজোরস দ্বীপের কাছে জাহাজটিতে আগুন লাগে। আগুন লাগার সময় জাহাজে ছিল অডি, পোরশা, ল্যামবর্গিনি-সহ ভোল্কসওয়াগন গ্রুপের প্রচুর বিলাসবহুল গাড়ি। সেসময় জাহাজে ছিলেন ২২ জন ক্রু সদস্যও। শেষপর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, জাহাজের সব ক্রু সদস্যদেরই উদ্ধার করেছে পর্তুগীজ জলসেনা এবং বায়ুসেনা।
এবিষয়ে ভোল্কসওয়াগনের তরফ থেকে ইমেলে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় জাহাজটিতে ১০০ টি জিটিআই, গলফ আর-এর মতো গাড়ি ছিল, যেগুলি টেক্সাসের (Texas) উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। এছাড়াও পোরশা’র মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগুন লাগার সময় জাহাজে তাঁদের কোম্পানির প্রায় ১,১০০ টি গাড়ি ছিল। তিনি আরও জানান, সেসময় তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল জাহাজের সদস্যদের বাঁচানো। গাড়িগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়ে গাড়ির মালিকদের সঙ্গে কোম্পানি কথা বলবে বলেও জানিয়েছেন পোরশা’র মুখপাত্র। অন্যদিকে ল্যামবর্গিনি’র তরফে এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মোট সংখ্যা জান্নাও হয়নি। তবে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা জানিয়েছে, জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে তাঁরা এবিষয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালেও প্রায় একইরকম একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মাঝসমুদ্রে গাড়ি খোয়াতে হয় ভোল্কসওয়াগন’কে। সেসময় গ্র্যান্ডে আমেরিকা নামক একটি কার্গো জাহাজে আগুন লাগায় পুরে ছাই হয়ে যায় অডি, পোরশা-সহ ভোল্কসওয়াগন গ্রুপের ২০০০টিরও বেশি গাড়ি।