World Radio Day 2022: 'বেতার হোক বিশ্বাসের মাধ্যম' বিশ্ব বেতার দিবসে এই বার্তাই ছড়িয়ে পড়ুক
বিশ্ব রেডিও দিবস কী? কেন পালন করা হয়? জেনে নিন বিস্তারিত
ফেব্রুয়ারি নানা দিবসের মাস। রোজদিন তো কোন না কোন দিবসের কথা শুনতে পাই। উৎসবমুখর মানুষ তাই নিয়ে মেতে উঠতে ভালোবাসেন। ঠিক তেমনই আজ বিশ্ব বেতার দিবস (World Radio Day)। গোটা বিশ্বেই যা নিয়ে চলছে নানা ধরণের প্রোগ্রাম। বিশ্বের রেডিওপ্রেমী মানুষের কাছে আজকের দিনটির গুরুত্ব অনেকখানি।
বেতার নিয়ে মানুষের আজও বহু মানুষের কাছে উন্মাদনার শেষ নেই। আজও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ রেডিওর নানা অনুষ্ঠান শুনে খুশি থাকেন। বিনোদন, আবহাওয়ার খবর, কৃষিকাজের খবর, বিভিন্ন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান, চিকিৎসা সংক্রান্ত আপডেট পেয়ে থাকে মানুষ। টেলিভিশনের রমরমার দুনিয়ায় আজও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম রেডিও।
বেতার নিয়ে মানুষের প্রশ্নের শেষ নেই। দূর থেকে বেতারতরঙ্গে ভেসে আসা সংবাদ শোনা আজও মানুষের কাছে অপার বিস্ময়ের জগৎ। কেবল বিনোদন নয়, তার বাইরেও রেডিওর দুনিয়া আরও অনেক কিছু। রেডিও আমাদের বৈচিত্র্যের মধ্যে শিক্ষা দেয়। মানুষের প্রতি, বিভিন্ন ভাষার প্রতি, নানা সংস্কৃতির প্রতি সহনশীলতা তৈরি করে। রেডিও তো শিক্ষা, সংস্কৃতি, সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে আসছে।
ঊনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকেই রেডিও তরঙ্গ নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু। তবে রেডিও পৌঁছাতে আরও বেশ কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হয়। বিশ শতকের শুরু থেকেই রেডিও চলে আসে। যদিও প্রথম দিকে এত জনপ্রিয় ছিল না রেডিও। পরবর্তীকালে রেডিও গণমাধ্যমের অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠে। একটা সময় রেডিও এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে মানুষ রেডিওর বিকল্প কিছু চিন্তা করতে পারেনি। যদিও পরবর্তীকালে গণমাধ্যমের আরও কিছু বিকল্প মাধ্যম চলে আসে, কিন্তু রেডিওর জনপ্রিয়তা আজও তুঙ্গে।
প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বেতার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ একটি অধিবেশনে বিশ্ব বেতার দিবস পালনের প্রস্তাব ওঠে। আর ৬৭ তম অধিবেশনে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। আর সেইদিন থেকেই চলে আসছে এই বেতার দিবস উদযাপনের ঘটনা।
এবারের বিশ্ব বেতার দিবসের থিম 'বেতার ও বিশ্বাস' (Radio and Trust)। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ রেডিওকে গণমাধ্যমের বিশ্বস্ত মাধ্যম হিসেবে মনে করে। কত গণমাধ্যম তৈরি হয়েছে, কিন্তু রেডিওর বিকল্প কী আদৌ কিছু তৈরি হয়েছে?