চাঁদে জলের অস্তিত্ব নিশ্চত করল নাসা
বিজ্ঞানীরা চাঁদে খুঁজে পেয়েছেন এমন কিছু আনবিক পদার্থ যা জলের উপস্থিতিকে নিশ্চিত করে
চাঁদে জলের অস্তিত্ব আছে বলে নিশ্চিত জানালো নাসা। দীর্ঘ গবেষণার পর এই আবিষ্কারের ফলে বোঝা গেল যে জল খুবই সহজলভ্য। এবং জল শুধুমাত্র গভীর কোন স্তরেই পাওয়া যায় এমন নয়।
পৃথক একটি গবেষণায় গবেষকেরা ঠান্ডা ফাঁদগুলি খুঁজে পান যা সর্বদা ছায়াময় স্থানে থাকে। এতে ১৫০০ বর্গমাইল ( ৪০,০০০ বর্গকিলোমিটর) পর্যন্ত জল থাকতে পারে। চাঁদে জলের যে অণুগুলি পাওয়া গেছে ভবিষ্যতে সেগুলি আরও বৃহত্তর কোন গবেষণার কাজে লাগতে পারে। মহাকাশচারীরা প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করতে পারে যা ধূমকেতু বা সৌরবাতাসের মাধ্যমে আগত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে কলোনী বজায় রাখতে এটি অক্সিজেন বা পানীয় জলে পরিণত হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে জল রকেট জ্বালানী তৈরি করতে, বিদ্যুত সংক্রান্ত মিশন গুলি তৈরি করতে এবং আন্তঃপ্লাবয়িত স্থানের ভ্রমণের ব্যায় কমিয়ে দিতে পারে।
নাসার গবেষণায় একটি রূপান্তরিত বোয়িং 747 ব্যবহার করা হয়েছে যা সোফিয়া নামে পরিচিত। এটি ৪১,০০০ ফুট বেশি উচ্চতায় মেঘের উপরে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে বেড়ায়। ২০০৯ সালে চাঁদের পৃষ্ঠে আণবিক হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন আবিষ্কার করা হয়েছিল।
ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ ডঃ নিক টেথিল জানান তিনি এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না তিনি বলেছিলেন এর আগে যে বরফ পাওয়া গেছিল সেটিতে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন পরমাণু একসাথে ছিল। যে তিনটি মাইক্রোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহার করেছিল, যা জল থেকে হাইড্রোক্সিল খনিজগুলি আলাদা করতে সক্ষম।