চমক ! বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা
ভোটের আগে এই হেভিওয়েটের যোগদানে সমৃদ্ধ হবে কি বাংলার শাসকদল?
প্রধানমন্ত্রীর আসনে যখন অটল বিহারী বাজপেয়ী, তখন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী তথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ যশবন্ত সিনহা। বিজেপি থেকে বহুদিন হল সরে এলেও সরে আসেননি রাজনীতির আঙিনা থেকে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনেও সমর্থন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে ম্যান মার্কিং করে লড়াইয়ের স্ট্রাটেজিরও অন্যতম কুশীলব ছিলেন এই যশোবন্ত সিনহা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতেও উৎসুক ছিলেন তিঁনি। এতদিন পর আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগদান করলেন তিঁনি। শাসক দলের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থীতালিকা আগেই ঘোষিত হওয়ায় এই মুহূর্তে কোনো প্রার্থীপদ না পেলেও তাকে আপাতত প্রচারক হিসেবে কাজে লাগাতে পারে তৃণমূল। হিন্দিভাষী অঞ্চলেও ঘাসফুলের দাপট বজায় রাখতে মমতার তুরুপের তাস হতে পারেন তিনিই।
আজ তৃণমূল ভবনে ডেরেক ও ব্রায়ান, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে এলেন যশবন্ত সিনহা। জোড়াফুলের পতাকা হাতে নিয়েই তিনি বলেন, "মোদী সরকার স্বেচ্ছাচার চালাচ্ছে। এদের বাধা দেওয়ার মতো কেউ নেই। দেশের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন।" ২০১৪ সালে মোদী-শাহরা ক্ষমতায় এলে তাদের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এই প্রাক্তন বিজেপি নেতার। ২০১৮ তে বিজেপি ত্যাগ করেন যশবন্তবাবু। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগদানের মঞ্চেই অভিযোগ করেন "অটলজির সময়কার বিজেপি-র থেকে আজকের বিজেপি অনেকটাই আলাদা। এখন বিজেপি বাকিদেরকে কেবল পদানত করতে চায়। এই কারনেই শিবসেনা, অকালি দলের মতো শরিকরা ছেড়ে চলে গিয়েছে। পুরোনোদের মধ্যে একমাত্র নীতীশ কুমারই রয়েছেন। মমতাজি আর আমি দু’জনেই অটলজির সংসারে ছিলাম। কান্দাহার বিমান ছিনতাইয়ের সময় নিজেকেই পণবন্দী করতে চেয়েছিলেন মমতা।" এখন দেখার এই হেভিওয়েট নেতার যোগদান শাসক দলের জন্য কতটা লাভদায়ক হয়।