তৃণমূলে যোগ দিতেই সহ সভাপতি পদে যশবন্ত সিনহা

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 15/03/2021   শেষ আপডেট: 15/03/2021 2:19 p.m.
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় - যশবন্ত সিনহা

শনিবার তৃণমূল ভবনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দলে যোগদান করেন যশবন্ত সিনহা

অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলের অর্থমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন যশবন্ত সিনহা। যিনি ১৯৮৪ সালে জনতা দলের হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তবে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের হাতে দলের রাশ ওঠার পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে  সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে যশবন্ত সিনহার। মোদী-শাহের হাতে উঠে বিজেপির চিন্তা-ভাবনা গণতন্ত্র বিরোধী হয়েছে এমন অভিযোগ তুলেই রাজনীতি ছাড়েন তিনি। সে সময়েও বারংবার বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কথা বলতে দেখা যায় যশবন্তকে। তবে এবার বিজেপি ছাড়ার তিন বছরের মাথায় তৃণমূলে যোগ দিলেন যশবন্ত সিনহা। 

শনিবার তৃণমূল ভবনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দলের যোগদান করেন যশবন্ত সিনহা। তৃণমূলে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দলীয় রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার পরেও ফিরলাম কেন, সে প্রশ্ন অনেকে হয়তো করবেন। কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, দেশ খুবই ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের স্বপ্নের গণতন্ত্র আজ সংকটের মুখে। সমস্ত মূল্যবোধ ঝেড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। গণতান্ত্রিক নিয়মকানুন কেউ মানছেন না। প্রাতিষ্ঠানিক স্বাতন্ত্রের উপরই গণতন্ত্রের শক্তি নিহিত থাকে। কিন্তু আজকের দিনে সমস্ত প্রতিষ্ঠানই দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেই কারণে ফের রাজনীতির ময়দানে আসা।’’

তবে দিন ঘুরতে না ঘুরতেই নয়া চমক। যোগ দেওয়ার অব্যবহিত পরেই তৃণমূলের শীর্ষ সাংগঠনিক স্তরে জায়গা পেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। তাঁকে তৃণমূলের সহ-সভাপতি ও জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য পদ দিল শাসকদল। এদিন তৃণমূলের তরফ থেকেই ঘোষণা করা বলা হয়, দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদের দায়ভার দেওয়া হয়েছে যশবন্ত সিনহাকে।

আর সিদ্ধান্তের পরেই উচ্ছ্বসিত হয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা ট্যুইটারে লেখেন, "সাধারণ মানুষের দাবি মেনে যশবন্ত সিনহা সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরায় সকলে উচ্ছ্বসিত। এটা দারুণ কামব্যাক। উনি বাংলার বাঘিনী, বাংলার মেয়ে ও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষটির সঙ্গে গেলেন। খেলা হবে, আমি আশা করি উনি জয় পাবেন। যশবন্তজি, মমতাজি, আপনাদের দু’জনকেই শুভেচ্ছা।"