নন্দীগ্রামে গিয়ে গুরুতর আহত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিযোগ বিরোধী দলের বিরুদ্ধেই
আপাতত এসএসকেএমে ভর্তি করে পোর্টেবল মেশিনের দ্বারা এক্স-রে করে দেখা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট কতটা গুরুতর
নন্দীগ্রামে সভা করতে গিয়েই গুরুতর আহত নন্দীগ্রামের প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে 'গুরুতর' চোট পেয়েছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, তাঁর বাঁ পা এবং কপালে চোট লেগেছে বলেই প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা তৃণমূলনেত্রীকে গ্রিন করিডর করে নন্দীগ্রামে থেকে আনা হয় কলকাতায়। আপাতত এসএসকেএমে ভর্তি করে পোর্টেবল মেশিনের দ্বারা এক্স-রে করে দেখা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট কতটা গুরুতর। পাশাপাশি এসএসকেএমে কার্ডিওলজি, জেনারেল মেডিসিন, অর্থোপেডিক, এনড্রোক্রাইনোলজি এবং সার্জারি বিশেষজ্ঞ মিলে ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরী করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য।
জানা গিয়েছে, বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নন্দীগ্রামে এসে একাধিক মন্দিরে যান মমতা। বিকেলের দিকে রানিবাঁধের একটি মন্দিরে হরিনাম এবং সংকীর্তন শুনতে যান। সেই সময় প্রচুর লোক তাঁকে ঘিরে ছিল, এবং আচমকা কয়েকজন ধাক্কা মারেন বলেই অভিযোগ। এরপর ধাক্কা লেগে গাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে মুখ থুবড়ে পড়েন যেতেই চোট পান মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূলনেত্রীর অভিযোগ, চার-পাঁচজন চক্রান্ত করে ধাক্কা মেরেছে। সাংবাদিকদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে নমস্কার করছিলাম। তখন চার-পাঁচজন লোক আচমকা দরজা বন্ধ করে দেয়। পা পুরো আটকে গিয়েছিল। পা পুরো ফুলে গিয়েছে। অনেক মানুষ ছিলেন। কিন্তু তাঁরা করেননি। এটা চক্রান্ত তো বটেই। পুলিশ সুপার ছিলেন না। সারাদিন অনুষ্ঠান করলাম। আমার বুকে ব্যথা হচ্ছে।"
বস্তুত, এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই দেহরক্ষী এবং রাজ্য সরকারের এসএসইউ-এর (স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিট) সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও। এরপরেই ‘জেড প্লাস’ ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পান মুখ্যমন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রীর আহত হওয়ার খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাস, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সহ একাধিক কর্মী-সমর্থক ও অনুগামীরা। তবে রাজ্যপাল আসতেই শুরু হয় 'গো ব্যাক' স্লোগান। ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে তৃণমূল সমর্থকদের।
অন্যদিকে, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বলেন, 'এটা বড়সড় অভিযোগ। একজন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এত লোকজন কীভাবে আসতে পারেন? জেলা পুলিশ কী করছিল? জেলা পুলিশের তো মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নির্দিষ্ট সুরক্ষা পরিকল্পনা থাকে। তারপরও কীভাবে হল?'