নিয়ম অমান্য করে হোটেল-পার্কে হয়েছে সিরিয়ালের শুটিং, নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা
অভিযোগ উঠেছে, ‘কৃষ্ণকলি’, ‘তিতলি’, ‘গ্রামের রানি বীণাপাণি’, ‘বরণ’, ‘খেলাঘর’, ‘খড়কুটো’, ‘শ্রীময়ী’, ‘ফেলনা’-সহ ২০টি ধারাবাহিকের বিরুদ্ধে
লকডাউনে (Lockdown) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee, CM) কথার মান্যতা রেখে এবং সমস্ত কলাকুশলীদের শারীরিক সুস্থতার জন্য বাংলা ধারাবাহিকের (Serial) শ্যুটিং বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছিল আর্টিস্ট ফোরাম। কিন্তু তারপরেও বেশ কিছু ধারাবাহিক নিয়ম অমান্য করেই কাজ করেছে। বাড়ি থেকে নয়, করোনা (Corona Virus) বিধি ভেঙে হোটেল-পার্কে হয়েছে সিরিয়ালের শুটিং। আর এতে টেকনিশিয়ানদের জীবিকার ক্ষতিও হচ্ছে। অভিযোগ, ‘কৃষ্ণকলি’, ‘তিতলি’, ‘গ্রামের রানি বীণাপাণি’, ‘বরণ’, ‘খেলঘর’, ‘খড়কুটো’, ‘শ্রীময়ী’, ‘ফেলনা’-সহ ২০টি ধারাবাহিক ফোরামের নির্দেশ আমান্য করে বাড়ি থেকে কাজ করেছে।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে প্রমাণ পেশ করে এমনই দাবি জানাল ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (FCTWEI)। তাঁদের দাবি, বাড়ি থেকে শ্যুট হচ্ছে দাবি করা হলেও জানা গিয়েছে হোটেল, গুদাম ঘর, ভাড়া বাড়িতে, নদীর ঘাটে সামাজিক দৃরত্ব বজায় না রেখেই কাজ করেছেন একগুচ্ছ ধারাবাহিকের কলা-কুশলীরা। এবার সেই ধারাবাহিকের প্রযোজকদের কাছে জবাব চাইল আর্টিস্ট ফোরাম।
ক্যমেরা কে করেছে? আলো কোথা থেকে পাওয়া গেল? মেকআপ কীভাবে হল? কস্টিউমই বা শিল্পীরা কোথা থেকে পেলেন? উইগ, গয়না কিংবা বডি প্রপগুলিই বা কোথা থেকে আসছে? ধারাবাহিকের সম্পাদনা, নেপথ্য সংগীতের ব্যবহারই বা কোথা থেকে, কীভাবে হচ্ছে? অত্যাধুনিক ক্রোমা ক্যামেরা কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে? হাত ধরা, আলিঙ্গনের দৃশ্য কীভাবে দেখানো হচ্ছে? ১৫ জুন অর্থাৎ মঙ্গলবারের মধ্যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে এইসব প্রশ্নের জবাব আর্টিস্ট ফোরামের কাছে জানতে চেয়েছে ফেডারেশন। পাশাপাশি দুটি ধারাবাহিকে ১০ বছরের কমবয়সী শিশুশিল্পী অভিনয় করছে। কোভিডবিধি অনুযায়ী যা এই সময়ে বেআইনি এবং দেশের স্বাস্থ্যবিধির সম্পূর্ণ বিরোধী।