সব জল্পনার অবসান, বাকি নির্বাচন ৩ দফাতেই

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 16/04/2021   শেষ আপডেট: 16/04/2021 5:53 p.m.
নির্বাচন কমিশন

কোভিডবিধি মেনে প্রচার চায় বিজেপি, ভার্চুয়াল প্রচারে নিমরাজি

শেষ কয়েক দফার নির্বাচন কমিয়ে এনে এক দফায় করার জল্পনা চলছিলই। গতকাল দিল্লির নির্বাচন কমিশন স্পষ্টতই জানিয়েছিল দফা কমানো সম্ভব নয়। শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে সর্বদলীয় বৈঠকে সে কথায় কার্যত শিলমোহর পড়ল বলে সূত্রের খবর। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি সত্ত্বেও ৪ দফাই বজায় থাকছে বাকি নির্বাচনে। দফা না কমিয়ে নির্বাচনী প্রচারে কঠোর কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।

শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে ১০ দলের সঙ্গে কমিশনের বিশেষ বৈঠক ছিল। এই বৈঠকে আগামী শেষ কয়েক দফার নির্বাচন কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। পূর্বসূচি অনুযায়ী কমিশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বলা হয়েছে দফা কমানো সম্ভব নয়, তবে নির্বাচনী প্রচারে কঠোর কোভিড বিধি সমস্ত রাজনৈতিক দলকে মানতে হবে। এই সভায় বিজেপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত এবং শিশির বাজোরিয়া। বৈঠক শেষে স্বপন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, " পঞ্চম দফার পর ৬১ শতাংশ বিধানসভা আসনে ভোট হয়ে যাবে। বাকি ৩৯ শতাংশ প্রার্থীরাও যেন প্রচার করার সুযোগ পান এই আবেদন করেছি। একই সঙ্গে আসন্ন দিনগুলিকে ভোটের লাইন যেন আরও দীর্ঘ করা হয়, যাতে শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় থাকে সে বিষয়ে কথা হয়েছে।"

শেষ ৩ দফার নির্বাচন যাতে ১ দফায় করা যায়, সে বিষয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন রাজ্যের শাসকদল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এক টুইট বার্তায় সে প্রস্তাবও রেখেছিলেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের এই প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, " আমরা প্রথম থেকেই বিস্মিত এই ৮ দফার ভোট নিয়ে। এরফলে কোভিডসহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। মানুষের জীবনকে মূল্যবান মনে করি। আমরা প্রথম থেকেই কম দফার ভোট চেয়েছিলাম। তিন দফার ভোট একদফায় হলে সবারই সুবিধা হত।" যদিও কমিশনের সব ধরণের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের তরফে মেনে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে সংযুক্ত মোর্চার দুই প্রতিনিধি বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং রবীন দেব অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি এবং তৃণমূল সঠিক ভাবে কোভিডবিধি মানছে না। তাঁদের দাবি আমরা আগেই আমাদের দলের তরফ থেকে সব ধরণের বড় মিটিং মিছিল বন্ধ করেছি। কমিশন যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তাই মেনে চলতে রাজি আছেন বাম নেতৃত্ব।