হারের কারণের ময়না তদন্ত করার নির্দেশ শুভেন্দুর, সমস্ত স্তরের নেতাদের উদ্দেশ্যে বিশেষ নির্দেশ
বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রথম মেগা বৈঠকে প্রত্যেকটি স্তরের নেতাদের বড় নির্দেশ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কোথায় ভুল হয়ে গেল বিজেপির? এবার সেই ভুল খোজার পালায় নেমে পড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। নির্বাচনে ভরাডুবির পরে আজকে ছিল বিজেপির প্রথম মেগা বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ, অরবিন্দ মেননের মতো নেতারা। খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই বৈঠকে দেখা গেলোনা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কে। কিন্তু এই বৈঠক থেকে শুভেন্দু অধিকারী হেরে যাওয়া আসনে হারের পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিলেন সকলের উদ্দেশ্য। তিনি কার্যত ঘোষণা করে দিলেন, ছোট বড় মেজো সমস্ত নেতাদের তাদের নিজের কেন্দ্রে হারের পর্যালোচনা করতে হবে।
এবারের বিধানসভা নির্বাচন ভারতীয় জনতা পার্টির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচন ছিল। যেখানে ২০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে গিয়েছিলেন অমিত শাহ নরেন্দ্র মোদিরা আর সেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি সংগ্রহ করতে পেরেছে মাত্র ৭৭ টি আসন। কেন এরকম ভরাডুবি? সেই খোজ করতেই এবারে পরাজয়ের ময়না তদন্ত করার নির্দেশ দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কয়েকদিন যাবৎ হলো দিল্লির নেতারা তাকে বেশ সমীহ করা শুরু করেছেন এবং দলে তিনি বেশ গুরুত্ব পাচ্ছেন। আর সেই গুরুত্বের সদ্ব্যবহার করে দলকে ভালো জায়গায় দাঁড় করানোর জন্য তিনি বদ্ধপরিকর।
দলীয় সমস্ত স্তরের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তার বার্তা, প্রত্যেকটি নেতাকে নিজের কেন্দ্রে জয় সুনিশ্চিত করতে হবে। যদি নিজের কেন্দ্রে জয় না লাভ করা যায়, তাহলে কোনদিন বাংলা বিজয় সম্ভব হবে না। ভারতীয় জনতা পার্টি যে এই নির্বাচনে পরাজিত হয়ে একেবারে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে তা শুভেন্দু অধিকারীর এই সমস্ত মন্তব্য দেখে বোঝাই যাচ্ছে। শুভেন্দু কার্যত ঘোষণা করে দিয়েছেন, যে কোন মতেই হোক প্রত্যেক নেতা কে জয়লাভ করতে হবে। একেবারে ছোট নেতাদের নিজের এলাকার বুথে, বড় নেতাদের নিজের কেন্দ্রে জয়লাভ করতে হবে। কার্যত এই বৈঠক থেকেই, বিজেপির আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং তার প্রচারের রূপরেখা তৈরি করার কাজ শুরু হয়ে গেল। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, শুভেন্দু অধিকারীর এই টোটকায় কাজ হলেও হতে পারে। বাংলা বিজয় হবে কিনা জানা নেই, তবে এরকম ভাবে যদি ভারতীয় জনতা পার্টি কাম ব্যাক করতে শুরু করে তাহলে হয়তো তাদের আসন সংখ্যা কিছুটা বাড়বে। আবার অনেক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপি নেতারা বলছেন, "শুভেন্দু অধিকারী শুধুমাত্র একটি পরামর্শ দিয়েছেন।"