শোভন বৈশাখীর অসুস্থতা তত্ত্বকে মান্যতা বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের, নয়া সমীকরণ বঙ্গ রাজনীতিতে
শোভন বৈশাখী সম্বন্ধে রত্নাকে নীরব থাকতে নির্দেশ তৃণমূল শীর্ষনেতাদের
একুশে নির্বাচনের আগে বিজেপির শিবিরে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শোভন বৈশাখীর হঠাৎ করে দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত ঘিরে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বঙ্গ রাজনীতি সরগরম হয়ে আছে। বহু বিতর্কের পর অবশ্য শোভন বৈশাখীর তত্ত্ব মেনে নিয়েছে রাজ্য তথা কেন্দ্র গেরুয়া শিবির। শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে তারা ভুবনেশ্বর থেকে ৪০০ কিলোমিটার গাড়ি করে কলকাতায় আশায় তাদের শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছিল ও জ্বর এসেছিলো। এবারে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা দুজনে সত্যিই অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু রবিবার মধ্যরাতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠক ও বৈশাখীর রাগ নিয়ে আর কোনো গেরুয়া শিবির দলীয় নেতা কথা বলতে নারাজ।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সকালে রাজ্য বিজেপি দপ্তরে শোভন বৈশাখীর ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর হঠাৎ করেই মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় মানভঞ্জনের পালা। দলীয় নেতৃত্বরা শোভন বৈশাখীর অসুস্থতা তত্ত্ব মেনে নেয়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে তাদের অসুস্থতার খবর নেয় বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অরবিন্দ মেনন। অন্যদিকে শোভন-বৈশাখী জুটি সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেদের মিছিলে না থাকার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেয়। তারা জানিয়েছে তাদের শারীরিক অসুস্থতার কারণে তারা যেতে পারেনি। শোভনবাবুর শরীরে তখন ১০০ জ্বর ছিল এবং শেষ মুহূর্তে তারা বেরোনোর চেষ্টা করলেও তারা বেরোতে পারেনি বলে দাবি তাদের।
অন্যদিকে, শোভন বৈশাখী প্রসঙ্গে এখন আপাতত রত্না চট্টোপাধ্যায়কে নিরব থাকার নির্দেশ দিয়েছেন শাসকদলের শীর্ষ নেতারা। কিছুদিন আগে রত্না শোভন বৈশাখী জুটির মিছিল নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, "ওরা কি আদেও বিজেপি কর্মসূচিতে যোগ দেবে। ওদের তো অনেক নাটক। যতক্ষণ না ফ্ল্যাট থেকে নেমে বিজেপি কর্মসূচিতে যোগ দেবে ততক্ষণ আমি বিশ্বাস করবো না।" একপ্রকার ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়ে যায় রত্নার। কিন্তু নির্বাচনের আগে কোনরকম বিতর্কে জড়াতে চাইছে না তৃণমূল সরকার। তাই তৃণমূল শীর্ষনেতারা অমরকন্টকে উপস্থিত রত্না চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে যে যাতে তিনি শোভন-বৈশাখী এর ব্যাপারে আর মুখ না খোলেন।