সাড়ে তিন বছর পর বিজেপির প্রচারে বেহালায় ফিরছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, আগ্রহী নন স্ত্রী রত্না
প্রায় সাড়ে তিন বছর পরে বিজেপির হয়ে প্রচার করতে এবারে বেহালাতে আসছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকবেন বান্ধবী বৈশাখী।
অনেকদিন সমস্যা থাকার পরে এবারে বিজেপির হয়ে রাজনীতিতে সরাসরিভাবে অবতীর্ণ হলেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তার সাথে তিনি সঙ্গী হিসেবে নিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় কে। প্রশ্ন উঠেছিল, মোটামুটি অনেকদিন তো হলো, কবে তিনি এবারে তার নিজের জায়গা বেহালাতে? অবশেষে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে বেহালা যেতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তার সাথে আছেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি সভাপতি শংকর শিকদার জানিয়ে দিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ বেহালা ১৪ নম্বর বাস স্ট্যান্ড থেকে ঠাকুরপুকুর ৩এ বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত রোড শো করতে চলেছেন শোভন বৈশাখী। রাজনৈতিক মহলের এখন এটাই প্রশ্ন, এতদিন পরে বেহালাতে ফিরে কিরকম ভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অস্ত্র দাগেন মমতা ব্যানার্জির এককালের প্রিয় ' কানন '।
অন্যদিকে শোভনের এই পদক্ষেপের বিপরীতে অস্ত্র দাগতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শোভনের সভার কিছুক্ষণ আগে তৃণমূল একটি পাল্টা মিছিল করতে চলেছে। পল্লীর মোড় থেকে বেলা ১২ টা নাগাদ এই মিছিল হবে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা বেহালার পরিচিত তৃণমূল নেতা অঞ্জন দাস কিন্তু ওই মিছিলকে শোভন-বৈশাখী কথা বলতে রাজি হননি। তার কথায়, ওরা ওদের কর্মসূচি করবেন আর আমরা আমাদের কর্মসূচি করব।
প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে কলকাতা প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বেহালা পর্ণশ্রী বাড়ি ছেড়ে দেন। তারপর একে একে মেয়র পদ, মন্ত্রিত্ব সবকিছু ছাড়েন। তৃণমূল ছাড়ার পরেও তিনি বেহালা পূর্বের বিধায়ক পদ ছাড়েন নি। তবে মাঝখানে একবার জল্পনা উঠেছিল শোভন নাকি আরো একবার তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন। কিন্তু সে সব এখন অতীত। বর্তমানে বিজেপির মিটিং মিছিলে শোভন-বৈশাখী একসাথে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। অন্যদিকে স্বামী শোভনের বেহালার রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে আগ্রহ দেখাননি রত্না চট্টোপাধ্যায়। বরং তিনি বলেছেন, "বিজেপির হয়ে তিনি মিছিল করতে আসছেন শুনেছি। কিন্তু তাতে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। ওই মহিলাকে নিয়ে তিনি যখন বেহালায় আসবেন, তখন আমজনতা যা বোঝার বুঝে নেবে। উনি ওই মহিলাকে নিয়ে যত বেশি হাঁটবেন, তৃণমূলের ভোট ততো বাড়বে। সাড়ে তিন বছর আমাদের সঙ্গে থাকেন না। আমার সঙ্গে যে কথা বলবেন না সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাচ্চাদের খোঁজ তো নেন না। এর জবাব মানুষই দেবে।"