প্রথম দিন বিজেপির জার্সি গায়ে মুহুর্মুহু ছক্কা হাঁকালেন শোভন, যোগ্য সঙ্গত বৈশাখীর
শোভন এদিন বললেন, বিজেপির হাতে তৃণমূল তৈরি, আর বিজেপিই ধ্বংস করবে তৃণমূলকে
বিজেপিতে যোগদান করার পরে দিন ছিল শোভন এবং বৈশাখী জুটির প্রথম সমাবেশ। সেখানেই একেবারে সুর সপ্তমে করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে মনে করিয়ে দিলেন বিজেপির হাত ধরে জন্ম হয়েছে তার দলের। সঙ্গে এও মনে করিয়ে দিলেন, তৃণমূলকে বিজেপি নিজে ধ্বংস করবে। প্রথম থেকেই শোভন বাবু এদিন ফর্মে ছিলেন। সভার শুরুতেই তিনি হুংকার দিলেন," ওসব মন্ত্রিত্ব হাওয়াই চটির মতো ছুঁড়ে ফেলতে পারি।" কার্যত মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে খোঁচা দিয়ে শোভন বলেন,' একবছর গীতাঞ্জলি প্রকল্পে আবাসনমন্ত্রী থাকাকালীন কোন ঘর তৈরি করা হয়নি। বিধানসভায় এই নিয়ে আমাকে ১ জন বিধায়ক প্রশ্ন করে। বিধানসভায় আমাকে ডেকে পাঠালেন মমতা। আমি গেলে সেখানে বলতে বলেন ২৫ লক্ষ ঘর তৈরীর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। তা বলার সঙ্গে সঙ্গে এই মমতা পিছন থেকে উঠে বলেন ২৫ না ওটা ৪০ হবে।"
পাশাপাশি শোভন এদিন জনসভা থেকে ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন," একজন বলছেন আমি পাকিস্তান বিরোধী। মিনি পাকিস্তান বলে এমন বিপদে পড়েছেন যে মুছতে মুছতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। মমতার শিল্পীসত্তাকে কটাক্ষ করে শোভন বার্তা," এমন ছবি আঁকেন যে নিজের নাম না লিখে দিলে চেনা যায় না। " শেষে বলেন, " বিজেপির হাত ধরে তৃণমূল তৈরি হয়েছিল। বিজেপির হাতেই তা ধ্বংস হবে।".
অন্যদিকে তার বান্ধবীও কিন্তু কম যান না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে নাম না করে কটাক্ষ করে এদিনের সভায় থেকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,' ১৪ তলা ভয় পেয়েছে। ভাইপো ভয় পেয়েছে। গত তিন বছর ধরে শোভন বৈশাখী করছে কেন জানেন? কারণ ওরা ভয় পেয়েছে। দিদিকে মায়ের রূপে দেখতেন শোভন বাবু। কিন্তু সেই মা পরে সৎ মায়ের রূপ নিল।" অন্যদিকে বৈশাখির গলায় এদিন শোনা গেল, " ঘরে ঘরে পদ্ম দিদিমণি জব্দ' এবং ' বিজেপি বিজেপি বিজেপি জিন্দাবাদ ' স্লোগান। শেষে তার গলাতেও শোনা গেলো ' জয় শ্রীরাম ' স্লোগান।