টিকিট না পেয়ে প্রকাশ্যে কেঁদে ফেললেন সোনালি গুহ

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 05/03/2021   শেষ আপডেট: 05/03/2021 10:28 p.m.
সোনালি গুহ

প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না দল আমাকে টিকিট দেয়নি!"

এদিন শুক্রবার কালীঘাটের বাসভবন থেকে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী তালিকায় নাম এসেছে সদ্য শাসকদলে প্রকাশ করা একাধিক তারকাদের। তবে নাম নেই দলের হয়ে কাজ করা মানুষের। টেলিভিশনেই একের পর এক প্রার্থী তালিকার নাম দেখছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ। পরে টের পান দল থেকে কোনো টিকিট পাননি তিনি, এতেই প্রকাশ্যে কেঁদে ফেলেন তিনি। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না দল আমাকে টিকিট দেয়নি! সবকিছু যেন দুঃস্বপ্নের মতো লাগছে। একনিষ্ঠ ভাবে দল করার হয়তো এই পুরস্কারই প্রাপ্য ছিল।’’

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে জ্যোতি বসুর ছেড়ে আসা আসন সাতগাছিয়ায় তাঁকে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএম নেতা গোকুল বৈরাগীকে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য বিধায়ক হন তিনি। ২০১১ সালে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার করা হয়। কাজেই নয়ের দশক থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গিনী কখনও ভাবেননি যে ‘ঘরের লোক’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে টিকিট দেওয়া থেকে বঞ্চিত করবেন।

অন্যদিকে, ভাঙড়ে আরাবুল ইসলাম টিকিট না পেয়েও ভেঙে পড়েছেন। টিকিট পাননি আরাবুল ইসলাম, একথা মানতেই পারছেন না ওই এলাকার আরাবুল ইসলামের অনুগামীরা। ফেসবুকে আবেগঘন হয়ে লিখলেন, ‘দলে আমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে।’ এরপরেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন আরাবুলের অনুগামীরা। পরে অবশ্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "বুথ থেকে উঠে আসা মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েছে। এই দলটাকে বুকে আঁকড়ে বড় করেছি। আজ ভাঙড়ের মানুষ যেটা বলবে সেটাই করবো।"

পাশাপাশি টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ ধরা পড়েছে বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসের। সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভের সুরে তিনি লিখেছেন, "দীর্ঘ সাড়ে ছ’বছরের রাজনৈতিক লড়াইয়ে একবার বাদে প্রতিবার ভোটের লড়াইয়ে দলকে জিতিয়েছি। মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি সর্বক্ষণ। আমার ব্যবহারে কেউ দুঃখ পেলে ক্ষমা করবেন। ফুটবল বা ক্রিকেটে পারফরম্যান্সই শেষ কথা। আমি এটাই জেনে এসেছি। আমি তো ফুটবলার। আমার কাছে ভাল খেলাটাই বড় কথা ছিল। এখন রাজনীতিতে এসেছি। সেখানেও পারফরম্যান্সই শেষ কথা বলে জানতাম। আমি সাধ্যমতো মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাও আমাকে প্রার্থী করা হল না কেন? সেটা আমি দলের কাছেই জানতে চাই।’’